Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক যুগ পর ঢাকা-নয়াদিল্লি নদী কমিশনের বৈঠক আজ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২২, ১১:১৮ এএম

এক যুগ পর যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৩৮ তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও ভারত।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে একদিন আগে হওয়া সচিব পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে বহমান ৫৪টি নদীর মধ্যে অনিষ্পন্ন যে ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে কোনো কোনোটিতে সমাধানের পথ উন্মোচিত হতে পারে।
জেআরসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আর নয়াদিল্লির পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। জানা গেছে, বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমসহ ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল থাকবে। বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার (২৪ আগস্ট) তারা নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব পঙ্কজ কুমারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের পানি সংক্রান্ত ইস্যুতে আলোচনা হয়। এর মধ্যে তিস্তা, ছয়টি অভিন্ন নদী- মনু, ধরলা, খোয়াই, গোমতী, মুহুরী ও দুধকুমার ছিল। আলোচনায় ছিল কুশিয়ারা ও গঙ্গা ইস্যুও।
জেআরসিতে সচিব পর্যায়ের বৈঠকের একটি ছবি প্রকাশ করে বুধবার এক টুইট বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) রকিবুল হক লিখেছেন, বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, পানি খাতে সহযোগিতাসহ অভিন্ন নদীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
যৌথ নদী কমিশনের তথ্য বলছে, মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে কুশিয়ারার পানি বণ্টন ইস্যু সমাধানে পৌঁছানো নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হতে পারে। আর আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরে কুশিয়ারা নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ সই হতে পারে। সাম্প্রতিক বর্ষায় দুই দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী অঞ্চলে বন্যা প্রসঙ্গও থাকবে আলোচনার টেবিলে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন নদীর জলসম্পদ বণ্টন, সেচ এবং বন্যা ও এই জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যৌথভাবে মোকাবিলা করতে ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে সমঝোতার মধ্য দিয়ে গঠিত হয় যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)। সবশেষ ২০১০ সালে জেআরসি বৈঠক হয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ