পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা পুরোপুরি আস্থাশীল হয়েই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা অনেকগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করেছি ও দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ১৫০, ১৫০ এইভাবে ভাগ করে ইভিএমটাকে ব্যবহার করবো। আমরা পুরোপুরি আস্থাশীল হয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যালট পেপারে যে সমস্যা হয় তার জবাব ইভিএমে ভালোভাবে পাওয়া যাবে। কেননা এতে সহিংসতা, কারচুপি সম্ভব হয় না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং টেকনিক্যালিও ইভিএম নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়েছে, ওটা কতটা নির্ভরযোগ্য বা সত্য, ওটাও আমরা পরখ করে দেখার চেষ্টা করেছি। আমরা বিভিন্ন দলকে বলেছিলাম, আপনাদের টেকনিক্যাল পারসনদের নিয়ে আসেন। তারা এনেছিলেন। আমরা আজ পর্যন্ত ইভিএমে ওই ধরনের অর্থাৎ যে একটা বক্তব্য চাউর হয়েছে- এখানে ভোট দিলে ওখানে চলে যাবে, এর কোনো নির্ভরযোগ্যতা পাইনি এবং তারাও দেখাতে পারেননি।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা কোনো দলের ইভিএম চাওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে, বা তাদের বিরোধীদের পক্ষে-বিপক্ষেও নই। একাধিক দল ইভিএমের বিপক্ষে বলেছে। আমরা সবার মতামত নিয়েছি। সম্ভব হলে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। এখন সম্ভব হবে কি না জানি না। তিনি বলেন, ‘সব দলের মতামত আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। ভোটকে হ্যান্ডেল করার দায়িত্ব ইসির। কীভাবে ভোট করলে স্বাচ্ছন্দ্য হতে পারে, সুষ্ঠু হতে পারে এবং ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, সেটা আমাদের মুখ্য বিবেচনার বিষয়। দলগুলোর কে কি বলেছে, তা মুখ্য বিবেচনায় আসেনি। তবে তাদের বক্তব্যগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। একইসঙ্গে কোটি কোটি যে ভোটার আছেন, তারা যেন আরও ভালোভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই বিষয়টাকে বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা-পর্যালোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। এখন ইভিএমের ক্ষেত্রে ওই ধরনের মাস্তানি কেউ করলে, তা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা তা করবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে সামর্থ্যরে একটা বিষয় আছে। আমরা ৩০০ আসনে ইভিএম-এ যাচ্ছি না, কারণ এতে আরেকটা সুযোগ হবে, যাতে ইভিএম-এর ১৫০টি আর, ব্যালটের ১৫০টি এই দুইয়ের মধ্যে তুলনা করা যাবে। আমরা ভবিষ্যতে আরও বেশি নিশ্চিত হতে পারবো যে কী দিয়ে মন্দ হচ্ছে, আর কী দিয়ে উত্তম হচ্ছে। আপনারা অপেক্ষা করেন, আমরাও অপেক্ষা করি। দেখি কী হয়। আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ আমরা বলতে পারি না। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সংকট ছিল, ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়েও সংকট ছিল। এবার আদৌ নির্বাচন নিয়ে সংকট হবে কি না, তা তো বলা যাবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।