পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নিতে হবে কি না-এ বিষয়ে আদেশ আজ। গতকাল বিচারপতি মো:মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চে এ প্রশ্নে দেয়া রুলের শুনানি শেষে এ তারিখ ধার্য হয়।
গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্ব অনুমতি নেয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন।‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে অ্যাডভোকেট সরোয়ার আহাদ চৌধুরী,একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম বাদী হয়ে রিট করেন।
হাইকোর্ট তার রুলে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৬(১) (২),২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না-জানতে চান।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়।২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয়-১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে। আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে,কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহিত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে,সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।সরকারি চাকরি আইনের৪১(১) ধারায় বর্ণিত বিশেষ সুবিধা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিটে। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, একই ধরণের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা প্রণয়ন করলে জনস্বার্থে রিট করলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করেন।একই সুযোগ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের দেয়ার জন্য ২০১৮ সালে প্রণীত উক্ত আইনের ৪১(১) ধারা আদালতের রায়ের পরিপন্থি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।