পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান রেখে প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান রেখে আবারো নতুন করে আইন অনুমোদন করছে। এটি মূলত: সাংবাদিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করারই আরেকটি পদক্ষেপ। এবার সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান রেখে আইন পাস করা নিঃসন্দেহে স্বৈরশাসকের বহিঃপ্রকাশ। নেতৃবৃন্দ প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন বাতিলের দাবি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বাংলাদেশ আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান রেখে আবারো নতুন করে আইন অনুমোদন করছে। এটি মূলত: সাংবাদিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করারই আরেকটি পদক্ষেপ। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে এই আইন বাতিলের দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন বাতিল করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনঃ সংশোধিত প্রেস কাউন্সিল আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মোস্তফা তারেকুল হাসান। আজ বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আজ পর্যন্ত প্রেস কাউন্সিল আইন নিয়ে মহাব্যস্ত রয়েছে। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিমন্ত্রণের এবং তাঁদের স্বাধীন কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য এই আইন দু'দিন পর পর সংশোধন করেই যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান রেখে আইন পাস করা নিঃসন্দেহে স্বৈরশাসকের বহিঃপ্রকাশ। তারেকুল হাসান আরো বলেন, সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ এবং জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় বুঝতে পেরে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন তৈরি করছে। এ ধরনের আইন হবে সরকারের জন্য আরেক মরণ ফাঁদ। সরকার যদি অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। সরকারকে অবশ্যই সংবাদ ও সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্টদের অবাধ বাক স্বাধীনতা দিতে হবে।
ইসলামী ঐক্য জোটঃ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব আজ এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইনে মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান রেখে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম কর্মীদের কন্ঠরোধ পরিণাম শুভ হবে না। পেশাদার সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীরা সমাজের দর্পণ। সরকার প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন তৈরি করে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার ক্ষুন্ন করতে চায়। গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের আইন গোটা সমাজকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে। তিনি গণতন্ত্রের বিকাশ এবং স্বাধীন সংবাদপত্রের নির্বিঘ্ন পথ চলা ও বস্তুুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। সাথে সাথে সম্পাদক পরিষদ এবং সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দকে অন্ধকারে রেখে প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন দেশবাসী মেনে নিবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসঃ প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। তিনি আজ এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ১৯৭৪ সালের প্রেস কাউন্সিল আইনে কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এনেছে, যার মাধ্যমে সাংবাদিকদের বড় অঙ্কের জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এতে স্বাধীন মত প্রকাশ ও স্বাধীন সাংবাদ পরিবেশনে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি হবে। তাই প্রেস কাউন্সিল আইন অবিলম্বে বাতিল করুন।
তিনি আরও বলেন, মতামত ও পরামর্শ না নিয়ে প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন কোনোভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। এই আইনের অনুমোদনে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এটি সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের কাছেও প্রকাশ করা হয়নি। আইনটির সঙ্গে সরাসরি গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতি নৈতিকতার বিষয়টি জড়িত। সুতরাং সংশোধনের বিষয়গুলো পরামর্শ ও মতামত নিয়ে করা জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।