পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রব বলেন, ইসির এ সিদ্ধান্ত আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে প্রচণ্ড ঝুঁকির মুখে ফেলবে। অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনাকে সুদূর পরাহত করবে। এটি গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে আগামী সংসদ নির্বাচনে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর নীল নকশার অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে রব বলেন, ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত একেবারেই গণআকাঙ্ক্ষা বিরোধী। বাংলাদেশের একজন ভোটার নেই, যিনি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। ইভিএম বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগিতা প্রশ্নে সাংঘর্ষিক।
জেএসডি সভাপতি বলেন, ভোটাররা ইভিএম ব্যবহারে যেমন স্বাচ্ছন্দ্য নয়, ইভিএমও ত্রুটিমুক্ত নয়। ইভিএমের ওপর জনগণের ন্যূনতম আস্থা নেই। এটি জনগণের কাছে জালিয়াতির বাক্স হিসেবে পরিচিত।
তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে নির্বাচনী নাটকে পরিণত করার মহড়া প্রদর্শনীর এ আয়োজন জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বিবৃতিতে রব আরও বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে এবং ভূ-রাজনীতিতে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। যা কোনোক্রমেই দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার সহায়ক হবে না। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মঙ্গলবার কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।