Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাতারে বাংলাদেশীসহ ৬০ বিদেশি কর্মী আটক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

কাতারে সম্প্রতি কমপক্ষে ৬০ জন বিদেশী শ্রমিক আটক হয়েছে, যাদের অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কয়েক মাসের বেতন বকেয়া থাকায় ওই শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছিল বলে একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জানিয়েছে। খবর এপি। আগামী নভেম্বরে ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে কাতার। এর আগে শ্রম ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখোমুখি থাকা দেশটির নতুন এ খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের মতো কাতারের অর্থনীত বিদেশী শ্রমিক নির্ভর। এ সব দেশে বিদেশী শ্রমিকদের ইউনিয়ন গঠন বা জনসমাবেশের অধিকার নেই। শুধু দেশীয় শ্রমিকরা এ সুযোগ পেয়ে থাকেন।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ইকুইডেম রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কাদরি বলেন, আটক শ্রমিকদের কাতার সরকারের দেয়া উন্নত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি নততুন সন্দেহ তৈরি করছে। সত্য বের হয়ে আসছে কিনা- প্রশ্নও তোলেন তিনি। ডিটেনশন সেন্টার আটক এক কর্মী ইকুইডেমকে জানায়, সেখানে বাংলাদেশ, মিশর, ভারত, নেপাল ও ফিলিপাইনের ৩০০ সহকর্মীকে দেখেছেন। বিক্ষোভের পর কয়েকজনকে বেতন দেয়া হয়েছে, আবার অনেকে পায়নি। তবে এ মন্তব্যের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোববার রাতে এক বিবৃতিতে কাতার সরকার স্বীকার করেছে, জননিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের জন্য বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার বা দেশ থেকে বের করে দেয়া নিয়ে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া গত ১৪ আগস্টের এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ৬০ জনের মতো শ্রমিক দোহার আল বান্দারি ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের অফিসের বাইরে তাদের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা একটি সড়ক অবরোধ করেন। অবকাঠামো, আবাসন, হোটেল, খাদ্য পরিষেবা ও অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির অনেক শ্রমিক সাত মাসের বেতন পায়নি বলে জানায় ইকুইডেম। তবে নিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন আল বান্দারি অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে কাতার সরকার বলছে, বিষয়টি তদন্ত করে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধ করে দেবে। কাদরি জানান, গ্রেফতার হওয়া অনেক শ্রমিককে শীতাতপের ব্যবস্থা নেই এমন কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়। অথচ চলতি সপ্তাহেই দোহার গরম ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছেছে।
কাতারে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে আল জাজিরার মতো পরিচিত সংবাদমাধ্যম থাকলেও দেশটির বাকস্বাধীনতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। শ্রমিকদের দুর্দশার কথা প্রকাশ্যে লেখায় গত বছর কেনিয়ার একজন নিরাপত্তারক্ষীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ২০১০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের ভেন্যু ঘোষিত হওয়ার পর কাতার কর্মসংস্থান নীতি কিছু সংশোধন আনে। কাফালা ব্যবস্থা বাদ দেয় ও ন্যূনতম মজুরি ১ হাজার কাতারি রিয়াল ঘোষণা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ