পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজস্ব সংগ্রহে স্বচ্ছতা আনতে বড় অঙ্কের ভ্যাট দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারে সার্বক্ষণিক প্রবেশাধিকার চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন লার্জ ট্যাক্সপেয়ারর্স ইউনিট (এলটিউ) ১১১টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিড-অনলি আইডি ও পাসওয়ার্ড চেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত ভ্যাট ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এলটিউ সূত্রে জানা গেছে, দুটি ব্যাংক, একটি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, একটি সিরামিক পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে এলটিউকে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছে। সফটওয়্যার মডিউল তৈরি করতে এলটিউয়ের কাছে সময় চেয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। তবে এখনো সফটওয়্যারে এককেস দিতে নারাজ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এলটিউ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আস্থার সঙ্কট কাটাতে এবার ব্যবসায় সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে এলটিউ। আগামী ২৫ আগস্ট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং ৩০ আগস্ট ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সঙ্গে বৈঠকে বসছে এলটিউ।
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করতে পেপারলেস ট্যাক্স কালেকশন মনোযোগী হতে চায় রাজস্ব বোর্ড। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যারে প্রবেশধিকার চাইছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট জারি করা এক আদেশে ১১১টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিড-অনলি আইডি এবং পাসওয়ার চায় এলটিউ। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত ভ্যাট ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। যদিও এমন উদ্যোগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশের তথ্যের পাসওয়ার্ড দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করা যাবে না। এমনকি সেসব তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এ বিষয়ে এলটিইউ-ভ্যাটের কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আইনি ভিত্তি থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এতে তাদের গোপনীয়তার কোনো ক্ষতি হবে না। কেননা ভ্যাটের যে রিয়েলটাইম তথ্য তার কর্মকর্তা দেখতে পারবে, সে তথ্য শুধুমাত্র রিডএবল। এতে এডিট করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানগুলো যদি সরকারের অন্য সংস্থাকে প্রবেশাধিকার দিতে পারে তাহলে এনবিআরকেও দিতে পারে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা মাস শেষে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়। আমরা রিয়েল টাইমে মিলিয়ে দেখবো, এতে স্বচ্ছতা থাকবে। ব্যবসায়ীরা হয়তো ভয় পাচ্ছে, কেননা বিষয়টা নতুন। আমাদের সঙ্গে বৈঠক হলে তাদের আস্থার সংকট কমবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।