Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে ওয়াসার পানির ভয়াবহ অপচয়

লাইনে শত শত লিকেজ

| প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বৃষ্টি বা জোয়ার নয়, ওয়াসার পানিতেই ভেসে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা। কোনো কোনো এলাকায় রাস্তায় থই-থই পানি। কোথাও আবার দিনের পর দিন পাইপ ফেটে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওয়াসার পাইপ লাইনে শত শত লিকেজ দিয়ে বের হওয়া পানি ভাসিয়ে দিচ্ছে নগরীর অনেক এলাকা।
কর্ণফুলী পানি সরবরাহ উৎপাদনে যাওয়ার মধ্যদিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২৯ বছর পর চট্টগ্রাম ওয়াসার ভা-ারে পানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে পাইপ লাইনে শত শত লিকেজ দেখা দেয়ায় এ পানির বিরাট অংশ অপচয় হয়ে যাচ্ছে। ওয়াসার হিসাবে গত কয়েক দিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০০টি লিকেজ চিহ্নিত করে তা সারানোর কাজ চলছে।
কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় দিনে ১৪ কোটি লিটার বেশি পানি পাচ্ছে ওয়াসা। এত দিন পানি উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ ১৮ কোটি লিটার। ১ নভেম্বর থেকে নতুন প্রকল্পের পানি পরীক্ষামূলকভাবে সরবরাহ শুরু করেছে ওয়াসা। এতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় আগের তুলনায় বেশি পানি পাচ্ছেন গ্রাহকেরা। তবে পানি সরবরাহের লাইন অনেক পুরোনো হওয়ায় নতুন বিপদে পড়েছে ওয়াসা।
ওয়াসা সূত্র জানায়, ১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ লাইনের ছোট-বড় প্রায় ৪০০ লিকেজ সারানো হয়েছে। বিতরণ লাইনে আরও প্রায় দেড়শ’ লিকেজের তথ্য রয়েছে ওয়াসার কাছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন লিকেজ দেখা যাচ্ছে।
ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, এতদিন পানি কম ছিল তাই পাইপ লাইনে চাপও ছিল কম। এখন একসাথে ১৪ কোটি লিটার বেশি পানি সরবরাহ দেয়ায় পাইপ লাইনে লিকেজ দেখা দিয়েছে। নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী মোড়, হালিশহর রোডের বিশাল এলাকাজুড়ে পাইপ লাইনে লিকেজ দেখা দেয়। কিছু  এলাকায় লিকেজ সারানো হলেও অনেক এলাকায় এখনও পানি অপচয় হচ্ছে।
নগরীতে পানি পানির দৈনিক চাহিদা ৫০ কোটি লিটারের বেশি। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের পানি যোগ হওয়ায় এখন ওয়াসার পানি উৎপাদনের ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩২ কোটি লিটারে পৌঁছেছে। কিন্তু লিকেজের কারণে কিছুটা কম পানি উৎপাদন ও সরবরাহ করেছে ওয়াসা।
জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার অর্থ সহায়তায় ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে ওয়াসা। ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী  এ কে এম ফয়জুল্লাহ জানান দীর্ঘদিনের পুরাতন পাইপ লাইন হওয়ায় অনেক এলাকায় লিকেজ হয়েছে। এসব সারানোর কাজও চলছে। আশাকরি খুব শিগগির লিকেজ সারানো শেষ হবে। আর তখন পানির অপচয়ও বন্ধ হবে।
এদিকে পুরোনো বিতরণ লাইনগুলো বদলে নতুন লাইন বসানোর কাজও শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। চীনা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি করেছে ওয়াসা। দ্বিতীয় কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬১৫ কিলোমিটার নতুন পাইপলাইন বসানো হবে। ১ হাজার ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন পাইপলাইন তৈরির কাজ শেষ হবে ২০২২ সাল নাগাদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ