Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোসলেম উদ্দীন রাজাকার মামলা হলে সাক্ষী দেব -বঙ্গবীর কাদের

ফুলবাড়িয়া কলেজ জাতীয়করণের দাবি

| প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস ও ফুলবাড়িয়া সংবাদদাতা : বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সাথে ফুলবাড়িয়া কলেজের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী এই কলেজকে জাতীয়করণের দাবী যৌক্তিক। কিন্তু সেই কলেজ জাতীয়করণ না করে নন-এমপিভুক্ত একটি কলেজ জাতীয়করণ করেছেন। আরো ৫টি কলেজ জাতীয়করণ করেন, আমার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু ফুলবাড়ীয়া কলেজকে জাতীয়করণ করতে হবে।’
শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজ পরিদর্শন শেষে কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে জনতার উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমাকে প্রধান সাক্ষী করে মোসলেম উদ্দিন রাজাকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাজাকার এমপি মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা হলে আমি প্রধান সাক্ষী হবো। জীবনে কখনো সাক্ষী দেইনি। এই এমপির বিরুদ্ধে মামলা হলে জীবনে প্রথম কোন মামলায় সাক্ষী হবো।’  
তিনি বলেন, ‘দেশে এত রাজাকারের বিচার হচ্ছে, কিন্তু মোসলেম উদ্দিনের বিচার হয়না। ১৯৭০ সালে মোসলেম উদ্দিন এমপি হয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে যাননি, আমি তাকে ধরতে কমপক্ষে দশবার লোক পাঠিয়ে ছিলাম কিন্তু পাইনি।’
এ সময় বঙ্গবীর আরো বলেন, ‘এই দেশটা পুলিশী দেশ হয়ে গেছে। রাজনীতি নাই, বিরোধী দল নাই। আ’লীগ সরকারের মারা যাবার জন্য বেশি দিন লাগবে না। পুলিশের বাড়িতেই তারা একদিন মারা যাবে। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে একটা ছাগলের গায়ে আঘাত করলে তার বিচার হওয়া উচিত। আর পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে শিক্ষকদের নির্মমভাবে মেরে আহত করলো। একজন শিক্ষক মারাও গেলেন। গলায় গামছা লাগিয়ে জনসম্মুখে এই হত্যার বিচার হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পেটাল, আমি যদি এ কলেজের ছাত্র হতাম তাহলে রানে রানে টান দিয়া কমপক্ষে ৩টি পুলিশ মেরে ফেলতাম। আমি আজ মারামারি করার জন্য আসিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সাথে ফুলবাড়িয়া কলেজের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী এই কলেজকে জাতীয়করণের দাবী যৌক্তিক। আমি এ দাবীর সাথে সমর্থন জানাতেই এখানে এসেছি।
এ সময় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বোন উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনাকে মারার জন্যই প্লেনে তেলের পাইপ খুলে রেখেছিল। আপনি যাদেরকে নিয়ে নাচেন, তাদের নিয়ে আর নাইচ্ছেন্না। যারা আপনার বাবাকে মেরেছে তারা আপনাকে ছাড়বে না। সাবধান হোন। মানুষের মন জয় করেন।’  
সমাবেশে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক বীর প্রতীক মোঃ হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন নবী সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।   
এদিকে শুক্রবার বিকেলে ফুলবাড়ীয়া কলেজ জাতীয়করণের দাবীর আন্দোলনে শিক্ষক’সহ দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার দাবীতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লাঠিচার্জ করে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করা দুঃখজনক। এই হত্যাকা-ে স্থানীয় এমপির সংশ্লিষ্টতা আছে। তাকে বিচারের আওতায় আনা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদসহ ফুলবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ