Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সার নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি তদারকির নির্দেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ও দাম বেশি নিতে না পারে-সে বিষয়ে তদারকি জোরদার এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সচিবালয়ে গতকাল ভার্চুয়ালি ‘সার্বিক সার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এ নির্দেশনা দেন। দেশে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে, কোথাও সারের সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলেও সচিব জানিয়েছেন।

কৃষি সচিব বলেন, কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সারের সংকট তৈরি করছে কি-না সেই বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। সভায় সঠিকভাবে সার বিতরণ-বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন সচিব। ডিলাররা যেন বরাদ্দকৃত সার যথাসময়ে উত্তোলন করে তা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত মনিটরিং জোরদার করতে বলেন। রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে সচিব বলেন, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্যতালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। ডিলারে গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কৃষি বিভাগ নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। বেশি দামে সার বিক্রির কোন তথ্য বা সংবাদ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা রিপোর্ট করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ডিলারদের নিয়ে সভা করে কৃষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সবাইকে সারের পর্যাপ্ততা সম্পর্কে জানানোরও নির্দেশনা দেন সচিব।

সভায় জানানো হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (২১ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুত ৬ লাখ ৪৯ হাজার টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি এক লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি এক লাখ ৩৭ হাজার টন।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সারাদেশের জেলা-উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন। সভায় প্রতিটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকরা সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ