পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সহায়তায় নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল।
রোববার ২১ আগস্ট উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও সেদিন প্রাণ হারান দলটির ২৪ নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানও ছিলেন। আহত হন কয়েকশ। যাদের অনেকে শরীরে শত শত স্প্লিন্টার বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ভয়াবহ ওই হামলার দেড়যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের বাধার কারণে গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। সংসদে রাখা হয়নি শোক প্রস্তাব।
ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
নির্বাচন এলেই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের কিছু সুশীল ও দুটি দেশের দূতাবাস কর্মীরা ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দিয়েছে।
বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন
সমাবেশে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি ব্যবহারের সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, বিশ্বের সব জায়গাতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। পৃথিবীতো আজকে গ্লোবাল ভিলেজ। আজকে আমরা একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বব্যাপী যেখানে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, আমরা তো এগুলোর বাইরে যেতে পারি না। সেই ধাক্কা আমাদের উপর এসে লাগছে। বাংলাদেশের উপর লাগছে।'
সরকারপ্রধান বলেন, 'আমরা তো বহু আগে থেকেই বলছি এক ইঞ্চি জমি খালি রাখবেন না। প্রত্যেকটা যুদ্ধের পরে কিন্তু দুর্ভিক্ষ হয়। আমাদের দেশে যেন সেটা না হয়।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি জানি যে আমরা তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। বিদ্যুৎ আমরা শতভাগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটাকে আমাদের সীমিত করতে হয়েছে। আজকে বিশ্বপরিস্থিতি কারণেই আমাদেরকে ধাক্কায় পড়তে হচ্ছে। তারপর আমরা আলাপ আলোচনা চালিয়ে আমরা চেষ্টা করছি আমার দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে।'
শেখ হাসিনা বলেন, এই অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে ১৫ লাখ মানুষকে আমরা চাল দেব। রেশন কার্ড করে দিচ্ছি। এক কোটি পরিবার এই রেশন কার্ড পাবে। এখান থেকে ন্যায্যমূল্য তারা তাদের পণ্য কিনতে পারবে। অচিরেই আমরা এটার ওপরে ঘোষণা দিতে পারব। আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমি চাইনা আমার দেশের মানুষ কষ্ট পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।