পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে জটিলতায় স্থবির হয়ে পড়েছে কক্সবাজাররের উন্নয়ন কার্যক্রম। কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদের মেয়াদ শেষ হলে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ পরক্রিয়ায় এই জটিলতা দেখা দেয়। কক্সবাজারের সর্বস্তরের জনগণ আবারো লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদকে কউক চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায়। কক্সবাজারবাসীর মতে লে. কর্নেল প্রধান মন্ত্রীর একজন যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে তার মেয়াদে কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করেছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধায় কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম ও আমরা কক্সবাজারবাসীর ব্যানারে সাংবাদিক সম্মেলনে লে. কর্নেলকে আরো এক মেয়াদের জন্য কউকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার দাবি জানানো হয়। তারা এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আনম হেলাল উদ্দিন জানান, ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আন্তরিকতায় যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদকে। তার মেয়াদে কক্সবাজারে ৮ শত কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এর মধ্যে আছে, নিজস্ব অর্থায়নে ৩শত ৫৮ কোটি টাকায় নির্মিত হয় আবাসন প্রকল্প। ২৫৮ কোটি টাকায় শেষ হওয়ার পথে কক্সবাজার শহরের ৫.২ কিমি প্রধান সড়কের কাজ। শহরের তিনটি মজাপুকুর সংস্কার করা হয় ৪৮ কোটি টাকায়। এছাড়াও ১১০ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয় দৃষ্টি নন্দন ১০ তলা নিজস্ব কউক ভবন। তার পারফর্মেন্স এর কারণে তিনি ইতোমধ্যে অর্জন করেছেন শুদ্ধাচার পুরষ্কার।
এছাড়াও ১০ তলা কউক ভবন নির্মাণ প্রকল্প থেকে ৪ কোটি টাকা সাশ্রয় করে সরকারী তহবিলে ফেরত দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। একইভাবে ২৮৩ কোটি টাকার প্রধান সড়ক প্রকল্প থেকেও টাকা সাশ্রয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন কউক চেয়ারম্যান। তার প্রচেষ্টায় পর্যটন শহর কক্সবাজারকে প্রধানমন্ত্রীর কাঙ্খিত সেই আধুনিক কক্সবাজার হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে একটি মাস্টার প্লানও সমাপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট ফোরকান আহমদের ৩য় মেয়াদের দায়িত্ব শেষ হয়েছে। তার পুনরায় নিয়োগে দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে পরছে। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক তিন বছর করে নিয়োগ দেয়ার বিধি থাকলেও তাঁকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুই বছর করে। প্রথম মেয়াদে চেয়ার টেবিল জনবল অফিস কিছুই ছিলনা। ২য় মেয়াদের ২ বছর করোনায় বিদ্ধস্ত ছিল পুরো পৃথিবী। ৩য় মেয়াদে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে নেয়ার মহাপরিকল্পনা করেছেন মাত্র।
এই অবস্থায় কক্সবাজারবাসী আশঙ্কা করছেন অন্য কাউকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর কাঙ্খিত কক্সবাজার উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা মুখথুবড়ে পড়বে। তাই কক্সবাজারবাসী আশাকরছেন প্রধানমন্ত্রীর কাঙ্খিত আধুনিক কক্সবাজার বাস্তবায়নে লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদকে আরো এক মেয়াদে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কমরেড সমীর পাল, লিখিত বক্তব্য পাঠ আ ন ম হেলাল উদ্দিন সভাপতি কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, অধ্যাপক এ এস এম আনোয়ার হক, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক মহসীন শেখ- সাংগঠনিক সম্পাদক আমরা কক্সবাজারবাসী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।