পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জ্বালানি খরচের জোরালো তথ্য এবং বছরের শেষের দিকে রাশিয়ান সরবরাহে প্রত্যাশিত পতনের ফলে গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বেড়েছে। উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যে, সম্ভাব্য মন্দার কারণে চাহিদা কমতে পারে। এদিকে, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রাশিয়ার আয় বাড়ছে।
গতকাল সকালে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার ১.৪৩ ডলার বা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেল প্রতি ৯৫.০৮ ডলারে উঠেছে। মার্কিন অপরিশোধিত ফিউচার তেল ১.১৫ ডলার বা ১.৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৯.২৬ ডলার হয়েছে। আগের সেশনে দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যদিও ব্রেন্ট ফেব্রæয়ারি থেকে তার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
গত কয়েক মাস ধরে ফিউচার তেলের দাম কমেছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি সম্ভাব্য মন্দা সম্পর্কে উদ্বেগকে উদ্দীপিত করেছেন যা জ্বালানির চাহিদাকে আঘাত করতে পারে। ব্রিটিশ ভোক্তা মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে লাফিয়ে ১০.১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৯৮২ সালের ফেব্রæয়ারি থেকে সর্বোচ্চ, যা সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, ডিসেম্বরে রাশিয়ান সামুদ্রিক অপরিশোধিত তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা এবং পরের বছরের শুরুতে পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা নাটকীয়ভাবে সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে এবং দাম বাড়াতে পারে। কনসালটেন্সি বিসিএ গবেষণা একটি নোটে বলেছে, ‘ইইউ’র নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়াকে বছরের শেষ নাগাদ প্রতিদিন প্রায় ১৬ লাখ ব্যারেল (বিপিডি) উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য করবে, যা ২০২৩ সালে ২০ লাখে বৃদ্ধি পাবে’।
‘রাশিয়ার তেল আমদানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞাগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বাজারকে অস্থির করবে এবং বছরের শেষ নাগাদ ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১১৯ ডলারে উন্নীত করবে।’ তবে, আপাতত রাশিয়া নিষেধাজ্ঞার পরে ধীরে ধীরে তেলের উৎপাদন বাড়াতে শুরু করেছে এবং এশিয়ান ক্রেতারা ক্রয় বাড়িয়েছে, যার ফলে মস্কো ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত উৎপাদন এবং রফতানি পরিমাণ বাড়াতে পারে, রয়টার্স দ্বারা পর্যালোচনা করা অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ের নথিতে দেখা গেছে।
নথি অনুসারে, চলতি বছর জ্বালানি রফতানি থেকে রাশিয়ার আয় উচ্চতর তেল রফতানির পরিমাণের কারণে আংশিকভাবে ৩৮ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে পরিষ্কার হয়েছে যে, রাশিয়া থেকে সরবরাহ ততটা প্রভাবিত হয়নি যতটা বাজারের প্রত্যাশা ছিল। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।