পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম বাড়ছেই। ইতোমধ্যে তা ৩ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। যার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে। ক্রমাগত মূল্যবান ধাতুটির মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসি ও বিজনেস রেকর্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার স্পট গোল্ডের দরপতন হয়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭৭৪ দশমিক ৭৯ ডলারে। এর আগে গত সোমবার দামি ধাতুটির দর পড়ে ১ শতাংশ। ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিকিয়েছে ১ হাজার ৭৮৮ দশমিক ১০ ডলারে। এর আগে ডলারের দাম ৩ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য হ্রাসের প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। টানা তিন দফা বাড়ার পর এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে দুই হাজার ২৭৮ টাকা কমল। ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কমে দাঁড়াবে ৮২ হাজার ৫৬ টাকা। যা এতদিন ছিল ৮৪ হাজার ৩৩১ টাকা। গতকাল বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে নতুন দাম অনুযায়ী স্বর্ণ কেনাবেচা করা হবে।
বাজুসের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে থেকে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ কিনতে খরচ পড়বে ৮২ হাজার ৫৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৩২৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি পড়বে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ২৮৭ টাকা।
তবে রুপার দাম আগের মতো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।
এদিকে ডলারের দাম বাড়ার পেছনে বর্তমানে চীনের অর্থনীতির ধীর গতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা কাজ করছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এরফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) আবারও সুদহার বাড়াতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আপাতত সেজন্য অপেক্ষা করছেন বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় ডলারের দাম আরও বেড়েছে। ওয়ান্ডার সিনিয়র বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বৈঠকে বসবেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। এর আগে ডলারের দর বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফলে স্বর্ণের মূল্য ক্রমাগত কমছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।