Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যেভাবেই হোক দেশকে এইডস মুক্ত করা হবে : স্বাস্থ্য মন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এইডস-এর মতো রোগ বাংলাদেশে থাকতে পারে না। যেভাবেই হোক ২০৩০ সালের মধ্যে এ দেশকে এইডস মুক্ত করা হবে। এ জন্য সর্বস্তরে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিশ্বায়নের সুফলের সাথে সাথে আমরা অনেক কুফলও ভোগ করি। এরমধ্যে অন্যতম হলো এইডস রোগ। একসময় আমাদের দেশে এই রোগ সম্পর্কে কারো ধারণাও ছিল না। বিশ্বায়নের কারণেই বাংলাদেশে এই রোগ এসেছে। জীবিকার তাগিদে অনেকেই বিদেশে যায়। সেখানে গিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেকে নানা ধরনের সমস্যায় পড়ে। এভাবেই দেশে ফিরে আসার সময় হয়তো নিজের অজান্তেই সঙ্গে করে এইডস নিয়ে আসে। তারপর সেটি অন্য আরো অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পরে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ব্যবহৃত সুই, সিরিঞ্জ, এমনকি রক্তের মাধ্যমেও এইডস ছড়াতে পারে। রাজধানীর যত্রতত্র ব্লাড ব্যাংক গড়ে উঠেছে। কিছু মানুষ মুনাফার জন্য এসব ব্লাড ব্যাংকে রক্ত কেনা-বেচার কাজ করে। রক্ত দাতার কাছ থেকে রক্ত নেয়ার সময় তা পরীক্ষা করা হয় না। এসব অবৈধ ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হবে। যেভাবে ভুয়া ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি এইডস বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে মসজিদের ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কলাম আজাদ, পরিরবার-পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. ওয়াহিদ হোসেন, ন্যাশনাল এইডিস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টার ডা. আনিসুর রহমান, বিএমএ মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।  
এদিকে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় ‘আসুন ঐক্যের হাত তুলি, এইচআইভি প্রতিরোধ করি’ প্রতিপাদ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি র‌্যালি বের হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. কামরুল হাসান খানের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে বিএসএমএমইউ’র নবনির্মিত ২নং বহির্বিভাগ-এ গিয়ে সমাপ্ত হয়।
র‌্যালি শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভিসি ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। সরকারী পর্যায়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ২০১৩ সালের ১৩ মে থেকে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সেবা প্রদান অবস্ এন্ড গাইনী বিভাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছে এবং এ সেবা অব্যাহতভাবে চলছে।  
(পিএমটিসিটি) প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৮ জন এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মাকে পিএমটিসিটি কার্যক্রমের আওতায় সেবা প্রদান করছে। ইতিমধ্যে ৩৮ জন মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন। এ পর্যন্ত ৩২ জন শিশু পরীক্ষার মাধ্যমে এইচআইভি মুক্ত হয়েছে। বিএসএমএমইউ’র নবনির্মিত ২নং বহির্বিভাগ-এর ৩০২নং কক্ষে সকল গর্ভবতী মায়েদের বিনামূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা এবং এইচআইভি আক্রান্ত মায়েদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ