Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনসার সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি গুলিতে নিহত

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : যশোরে বুধবার মধ্যরাতে গোলাগুলিতে রিপন হোসেন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। তার বাড়ি বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আচড়া গ্রামে। পিতার নাম হাবিবুর সরদার।
গোলাগুলির ঘটে যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে পাকা রাস্তার উপর। নিহত যুবক রিপন বেনাপোলের আনসার সদস্য ফিরোজ হাসানকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। এই নিয়ে যশোরে মধ্যরাতের গোলাগুলিতে গত নভেম্বর মাসে ৪ জন সন্ত্রাসী নিহতের ঘটনা ঘটলো। যাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, পাঁচবাড়িয়া স্কুলের কাছে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের ওপর দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলির লড়াই হচ্ছে বলে খবর পায় পুলিশ। সে অনুযায়ী রাত একটার দিকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। লড়াইরত সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার এম আব্দুর রশিদ বলেন, রাত পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, সে আগেই মারা গেছে। কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক এইচএম শহিদুল ইসলাম জানান, নিহত যুবকের পরিচয় রাতে জানা না গেলেও সকালে জানা গেছে। তার নাম রিপন হোসেন। সে বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তারক্ষী আনসার সদস্য ফিরোজ হাসান হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি। এছাড়া থানায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি বলছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
নেপথ্যের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানায়, গত ২৬ অক্টোবর বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি পণ্য চুরির সময় খোকন ও তৌহিদুর নামে চোর সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে আট কেজি তামা-জাতীয় পণ্যসহ আটক করেন কর্তব্যরত আনসার সদস্য ফিরোজ হাসান। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। কিছুদিন পরেই আসামিরা জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত ১৫ নভেম্বর ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বেনাপোলের ছোট আঁচড়া এলাকার বাসিন্দা বন্দরের পণ্য চোর সিন্ডিকেটের মুলহোতা রিপন হোসেনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী রাত সাড়ে ৭টার দিকে বন্দরের ১৪ নম্বর শেডের সামনে আসে। এ সময় আনসার সদস্য ফিরোজ হাসান ডিউটিতে ছিলেন। ওই সন্ত্রাসীরা লোহার রড এবং হাতুড়ি দিয়ে ফিরোজের ডান পায়ে এবং মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে অন্য আনসার সদস্য ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ডাক্তাররা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎনাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ