পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের বিরোধীরা একটা সুযোগ পাচ্ছে। তারা আন্দোলন করছে। সেটা করুক আমি তো চাচ্ছি। আমি নির্দেশ দিয়েছি, তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। খবরদার কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়।
বিরোধী দলের আন্দোলনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলন করে তারা কতটুকু সফল হবে, সেটা জানি না। কিন্তু যেটা করছে তাতে দেশের জন্য আরও ক্ষতি হবে। আমরা সেটা সামাল দিতে পারবো, সেই বিশ্বাস আমার আছে।’
রোববার (১৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে—রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু আমরা নই, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রত্যেকটা মহাদেশের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জিনিসের ওপর প্রভাব পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ভুক্তভোগী না, সারা বিশ্বের মানুষই ভুক্তভোগী। মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। সেই কষ্ট লাঘবের জন্য আরও কী কী করা যায়, তার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের কষ্টটা যে বুঝি না, তা না। আমাদের বিরোধীরা একটা সুযোগ পাচ্ছে। তারা আন্দোলন করছে। সেটা করুক আমি তো চাচ্ছি। আমি নির্দেশ দিয়েছি—তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। খবরদার কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে, আমি আসতে দেবো। আজকেও আমি নির্দেশ দিয়েছি—তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। খবরদার তাদের কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়, বিরক্ত করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায়, করুক। অসুবিধা কী?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করতেছি, সেটা দেশের মানুষ জানে ও বুঝে। হ্যাঁ না কথা বলবে। বিরোধী দল সুযোগ যখন পাচ্ছে, সেটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা যদি বেশি করতে চায়, এর প্রভাবে তো দেশের মানুষের কষ্ট তো আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।