পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারিগরি শিক্ষায় আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে ডিপ্লোমা কোর্স ৪ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় যে মান অর্জনের চেষ্টা হয়, আমরা এখানে কারিগরি শিক্ষায় সেই মান নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি এই খাতকে আরও সুবিন্যস্ত করা দরকার। নানা দিক বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি ডিপ্লোমা কোর্স ৩ বছর হওয়া উচিত, ৪ বছর হওয়া উচিত না। যারা প্রতিষ্ঠান চালায়, বিশেষ করে বেসরকারি পর্যায়ে যারা প্রতিষ্ঠান চালায়, তাদের জন্য হয়তো ৪ বছর হলে সুবিধা। যে পড়া ৩ বছরে পড়া সম্ভব সেটিকে ৪ বছর পর্যন্ত টেনে নিয়ে বাবা-মায়ের আরও বেশি খরচ করানো, কারিগারি শিক্ষায় যারা আসছে তাদের বাবা-মা অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছে। তাদের একটি বছর পড়ানো এবং সেই খরচটা বাবা-মায়ের ওপর যায়। ১ বছর পরে তারা কর্মক্ষেত্রে আসার সুযোগ পাচ্ছে। এটিরও কিন্তু একটা বড় অপরচুনিটি কস্ট আছে। সেটাও আমাদের ভাবতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, ডিপ্লোমা কোর্স ৩ বছর হওয়া উচিত। তাতে শুধু ব্যয় সাশ্রয় না, সব দিকে ভালো এবং আমাদের পড়াশোনায় মান নিয়ে আসা যাবে। পৃথিবীর অনেক দেশে, উন্নত দেশে যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত সেখানে অনার্স কোর্স আছে ৩ বছরের। ডিপ্লোমা ৪ বছর করতেই হবে তার কোনো মানে নেই।
এদিকে ডিপ্লোমা কোর্সকে ৩ বছর করার শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী অভিভাবকদের অর্থ সাশ্রয়ের খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে প্রচলিত ৪ বছরের কোর্স তিন বছরের রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও স্টাডির পর ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চালু করা ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ৩ বছরে নামিয়ে আনার কথা বলে কারিগরি শিক্ষার প্রতি চরম অবজ্ঞা অবহেলার পরিচয়।
এফডিইবি’র জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, প্রকৌশল শিক্ষাকে ধ্বংস করে কার স্বার্থ রক্ষা করতে চাচ্ছেন, তা জাতি জানতে চায়। নাকি দেশের ৫ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ও সারে ৪ লক্ষাধিক পলিটেকনিক ছাত্র-ছাত্রীদের রাজপথে নামিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করতে চান? ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র না করার জন্য এবং শিক্ষামন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে এফডিইবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।