Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অন্য কোন দল ক্ষমতায় আসলে দেশ পিছিয়ে পড়বে -প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে প্রচার কার্যক্রম চালানোর জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অন্য কোন দল ক্ষমতায় আসলে দেশ পিছিয়ে পড়বে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  ফোর সিজনস হোটেলে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। অন্য কোন দল ক্ষমতায় আসলে দেশ পিছিয়ে পড়বে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে এ জন্যই আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে দেশের উন্নয়ন চায়। দেশকে উন্নত করা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব এবং এটি আমরা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ্।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া দল। যে দল দেশের স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে কেবল তারাই দেশের উন্নয়ন করতে পারে। আওয়ামী লীগের চেয়ে অন্য কোন দল তা পারবে না। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের আগামী সাধারণ নির্বাচনের প্রচার কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনারা যখন দেশে ফিরবেন আপনারা আপনাদের গ্রামবাসীদের একটি প্রশ্ন করবেন তারা উন্নয়ন চায় নাকি উন্নয়ন চায় না। সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা অনিল দাসগুপ্ত। বিভিন্ন ইউরোপিয়ান দেশ থেকে আগত আওয়ামী লীগ নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে দেশের ভাবমর্যাদা অধিকতর উজ্জ্বল করতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনাদের নিজেদেরকে রাষ্ট্রদূতের মতো করে বিদেশে দেশের ভাবমর্যাদা তুলে ধরতে হবে।
শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর পর্যন্ত যে দলগুলো রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তাদের জবাবদিহি করতে হবে যে কেন তারা দেশের উন্নতি করতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। কিন্তু জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারের এসব ইস্যু উত্থাপনেরও সাহস ছিল না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে দলের বিজয়ের জন্য বিদেশে বসবাসকারী দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যখন দেশে যাবেন তখন নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যাপক সাফল্যের চিত্র তুলে ধরবেন।
উন্নয়ন কর্মকা-ের বিরুদ্ধে একদল মানুষের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা সবকিছুই অপছন্দ করে। সবকিছুতে তারা দোষ-ত্রুটি দেখে। এটাই স্বাভাবিক যে তারা সব বিষয়ে আন্দোলন করবে। তবে তারা তাদের বিক্ষোভ করতে থাকুক, আমরা আমাদের উন্নয়ন কর্মকা- চালিয়ে যাবো।
২০১৩ সালে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় আমি সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছিলাম। আমি তাকে (খালেদা) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেয়ারও প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু তিনি রাজী হননি, এমনকি নির্বাচনেও আসেননি। বরং তিনি নির্বাচন ভ-ুল করার চেষ্টা করেছিলেন। মূলতঃ ২০১৩ সালে খালেদা জিয়া সংলাপের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে কোকোর মৃত্যুর পর সমবেদনা জানাতে আমি তার (খালেদা) বাসায় গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বাসায় ঢোকার সুযোগ দেননি। ভেতর থেকে বাসার গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিগত ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর প্রথম ৩ মাস খালেদা জিয়ার দলের সৃষ্ট নৈরাজ্য ও তা-বের জন্য তার তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় তারা আন্দোলনের নামে ১৫৭ জন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন এবং এতে দগ্ধ হয়েছেন ৫০৮ জন।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যাকারীরা দেশকে কি দেবে। আর কেনইবা জনগণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনিকারীদের ওপর আস্থা রাখবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে এবং ইতোমধ্যে এর কিছু রায় কার্যকরও হয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে মুক্ত করে এবং মন্ত্রী ও এমপি বানিয়ে তাদের পুনর্বাসন করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা দিয়েছেন তাদেরকেও যুদ্ধাপরাধীদের মতো একই শাস্তি ভোগ করা উচিত।
হাঙ্গেরির সঙ্গে বাংলাদেশের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই ঃ
বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরি পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পররাষ্ট্র ইস্যুতে পরামর্শ ও কৃষি ক্ষেত্রে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। গত মঙ্গলবার হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট ভবনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর আরবানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই করেন বাংলাদেশের পক্ষে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও হাঙ্গেরির পক্ষে অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী সানদোর পিন্ডার।
পররাষ্ট্র ইস্যুতে পরামর্শ বিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক কূটনীতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লেভেন্ডে মাগায়ার।
আর কৃষি বিষয়ক সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের কৃষি সচিব মইনুদ্দীন আবদুল্লাহ ও হাঙ্গেরির পরিবেশ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জোল্ট ভি নিমেথ। চুক্তি স্বাক্ষরের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেন দুই প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন দুজনই। এসময়ও শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন ভিক্টর আরবান।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর আরবান বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যে দ্রুতগতির অগ্রসরমান দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতি প্রাচ্যের জন্য উন্মুক্ত। বিশ্বের দ্রুতগতিতে অগ্রসরমান দেশসমূহে হাঙ্গেরি রফতানি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও পূর্বের ব্যাপক সম্ভাবনায় দেশসমূহে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাঙ্গেরিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ৬৭ শতাংশ, জার্মানের সঙ্গে ৫৭ শতাংশ ও ফ্রান্সের সঙ্গে ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, এই তথ্য থেকে ভালোভাবে বুঝা যায়, বাংলাদেশে যথাযথ পেশাগত ও প্রযুক্তিগত সুবিধা বিদ্যমান, যার মাধ্যমে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সামান্য কয়েকজন নেতার মধ্যে একজন যাকে আমরা খুব সম্মান করি। তার সাহস ও নির্ভীকতার কারণে তিনি আমাদের জন্য একটি ভালো দৃষ্টান্ত।
ভিক্টর বলেন, আমি কোন নারী সম্পর্কে খুব কমই বলি। কিন্তু আমি এখন আপনাদের বলছি, এই সম্মেলনে আমি যা দেখেছি তাতে বলতে পারি, শেখ হাসিনা বিশ্বের একজন অত্যন্ত সাহসী নারী। খুব কমসংখ্যকই এমন নারী আছেন, যারা দেশের জন্য এমন নিবেদিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে বন্যা সুরক্ষা, উপকূলীয় এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ এবং ড্রেনেজ সিস্টেম ও বর্জ্য পানি ব্যবস্থাপনায় আমাদের সহযোগিতা আরো জোরদারে সম্মত হয়েছি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় চেষ্টা করছি।
আরবান বলেন, এক্সিম ব্যাংক অব হাঙ্গেরি ৯ কোটি ডলারের একটি তহবিল চালু করবে। আর বাংলাদেশ, হাঙ্গেরি বা পরস্পরের সঙ্গে ব্যবসারত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ অর্থ ব্যবহার করতে পারে।
বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে বিদ্যমান সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা চুক্তির কথা তুলে ধরে আরবান বলেন, চুক্তিটি একদমই সেকেলে।তিনি বলেন, এ কারণে একটি নতুন চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন চুক্তির রূপরেখা অনুযায়ী হাঙ্গেরি সেদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার জন্য বাংলাদেশের ১শ’ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে হাঙ্গেরির ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের আহবান জানান। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের ইতিহাস আছে এবং বাংলাদেশ হল বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য যুক্তরাষ্ট্রসহ এখন বিশ্বের ৮৩ দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আমরা খুবই দ্রুত সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই)সহ উঁচুমান ও স্বল্প মূল্যের ওষুধ তৈরির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক দেশ হিসেবে বিশ্বে আবির্ভূত হচ্ছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি ও সংশ্লিষ্ট খাতগুলো দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পও দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। এখানে বিশ্বমানের হালকা থেকে মাঝারি ধরণের সমুদ্রগামী যান নির্মাণ করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর আরবানের সঙ্গে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হওয়ায় তিনি খুবই খুশি। আলোচনাকালে আমরা দুই দেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য ও বিনিযোগ বাড়ানোসহ সম্পর্ক আরো গভীর ও জোরদার করতে একমত হয়েছি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক পারস্পরিক লাভজনক ব্যবসার সুযোগ সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।



 

Show all comments
  • Tania ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:২৪ এএম says : 0
    Allah e valo janen
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ