পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬ জন সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গতকাল এ কথা জানান। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সব কয়টি তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকালে সচিবালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বহিষ্কৃতরা হলেন, বিমানের প্রকৌশল শাখার প্রকৌশলী রোকনোজ্জামান, লুৎফর রহমান, সামিউল হক, জাকির হোসেন, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস এবং সিদ্দিকুর রহমান। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকরা বিমানটির কারিগরী বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা ও দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তারা।
এর আগে গত সোমবারই এই ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়। এর দুটি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং অপরটি করে মন্ত্রণালয়। এর একটি কমিটি বিকালে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে এ নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী মেনন।
বিমানমন্ত্রী বলেন, তারা তিনটি বিষয়টি সামনে রেখে তদন্তে নেমেছিলেন। একটি আবহাওয়া, দ্বিতীয়টি কারিগরি জটিলতা এবং তৃতীয়টি মানবিক অবেহলা। মেনন বলেন, ‘তিনটি ফ্যাক্টরের মধ্যে হিউম্যান ফেইলর ফ্যাক্টর প্রমাণিত হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও দায়িত্বশীলদের অবহেলার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। আমরা পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। আরও দুই এক জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
তিন দিনের হাঙ্গেরি সফর শেষে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। তবে সফরে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কারণে ফিরতি পথে বাড়তি সতর্ক বিমান।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা বিমানের ত্রুটি খুঁজতে বিমানের চিফ অব টেকনিক্যাল ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের কমিটির একটি কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্যরা ছিলেন- চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন সোয়েব চৌধুরী, ডেপুটি চিফ অব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হানিফ ও ম্যানেজার (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) নিরঞ্জন রায়।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ওয়েল (ইঞ্জিনে লুব্রিকেন্ট) প্রেসার কমে যাওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ইঞ্জিনে ওয়েল (লুব্রিকেন্ট) প্রেসার কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, একটি নাট-বোল্ট ঢিলে ছিল। নাট-বোল্ট ঢিলে থাকার কারণে বিমানটির বাম পাশের ইঞ্জিনের লুব্রিকেন্ট পড়ে গিয়ে প্রেসার কমে যায়। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে গিয়ে বিমানটি পর্যবেক্ষণ করেছেন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে।
দায়ী ব্যক্তিদের তদন্ত করে শাস্তি দিন Ñসংসদীয় স্থায়ী কমিটি
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়া এবং জরুরি অবতরণের বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের ফান্ড বৃদ্ধির এবং ফেডারেশনকে তাদের নিজস্ব আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও সুপারিশ করে এ কমিটি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২৫তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটি সভাপতি মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল-এর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার এমপি, এ এম নাইমুর রহমান এমপি, নূরুল ইসলাম তালুকদার এমপি। বৈঠকে বিগত গৃহীত সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয় যে, বিগত ১৯৮৬ হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মোট ৩৪৫ জনকে জাতীয় যুব পুরস্কারে ভূষিত করা হয় যাদের মধ্যে ২৮৮ জন বর্তমানে আত্মকর্মসংস্থান ও নিজ নিজ পেশায় জড়িত। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক ক্লাব ও সংগঠন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বলে কমিটিকে জানানো হয়।
বাংলাদেশের জিমন্যাস্টদের সার্বক্ষণিক সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের সরঞ্জাম ও উন্নত মানের প্রশিক্ষক-এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে আগামী ৪ বছরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। সেজন্য বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের ফান্ড বৃদ্ধির এবং ফেডারেশনকে তাদের নিজস্ব আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।