পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একইসঙ্গে অনৈতিক ক্ষমতাকে স্থায়ী করতেই সরকার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ৯ বছর আন্দোলন করেছেন বিএনপি নেত্রী। এখনও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য গত ৭ বছর তিনি ত্যাগ স্বীকার করে লড়াই করে যাচ্ছেন। মূলত সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তার নামে মামলা দিয়েছে। সব ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে জনগণকে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের জনগণকে দেয়ার আর কিছু নেই। তথাকথিত উন্নয়নের নামে জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, অধিকার নেই।
দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশিরাও এই সরকারের সমালোচনা করতে শুরু করেছে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
“সম্প্রতি ভারতের এক সাংবাদিক বলেছেন,বাংলাদেশে এখন যা পরিস্থিতি তাতে কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এর কারণে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে।”
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ডের জন্য রাজনীতিবিদদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল থাকবে এবং তারা লুণ্ঠন করবে, শোষণ করবে, এদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের অপরাজনীতির কারণে তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। এদেশের মানুষ সব সময়ে আন্দোলন করে তাদের অধিকার রক্ষা করেছে, এবারও করবে।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের চেয়ারম্যান কমরেড সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।