পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে : বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলা সুন্দরবনের সীমান্ত অঞ্চলে ২টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পোল্ডার হুমকির মুখে। সিডর, আইলাকবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত এ দু’টি পোল্ডার অরক্ষিত হলেও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কয়রাবাসী। গাববুনিয়া বেড়িবাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়েছে নোনা পানি। এছাড়া ১৪ ফুটের স্থলে উচ্চতা রয়েছে মাত্র ১১ ফুট, দেখার কেউ নেই।
গতকাল খুলনার কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে গাববুনিয়া গ্রাম লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর ভোরে পাউবোর ১৩-১৪/২ পোল্ডারের উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া নদী সংলগ্ন কাটকাটা বেড়িবাঁধের প্রায় ৫০ ফুট জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে অর্ধশত বসতবাড়ি ও চিংড়ি ঘের ডুবে যায়। খবর পেয়ে উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ আটকানোর চেষ্টা করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দুপুর পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাকে ভাঙন এলাকায় দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে পাউবোর সেকশন কর্মকর্তা মো: খায়রুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বদিউজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিধ্বস্ত বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেন।
এছাড়া গত ২৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ১৩ কি.মি. বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ অকেজো এবং ২৬ কি.মি. বেড়িবাঁধ সংস্কারের অভাবে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। এর মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে উত্তর বেদকাশির গাববুনিয়া গণেশ মেম্বারের বাড়ির দক্ষিণ পাশ থেকে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ সানাপাড়া, পুটিঘেরি, কাশিরহাট পর্যন্ত ৩৫০০ মি., ঘাটাখালী সবুরের বাড়ি হতে গোবরা আফতাব সরদারের বাড়ি পর্যন্ত ৪০০০ মি., দশহালিয়া হাকিম সরদারের বাড়ি হতে মুজিবর মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ১০০ মি., মহেশ্বীপুরের ট্রলারঘাট থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক মেম্বার গাজী এসহাক আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৫০০ মি., মঠবাড়ী লঞ্চঘাট হতে ভবকৃষ্ণের বাড়ি পর্যন্ত ৫০০ মি. এবং পাথরখালী ক্লোজার এপ্র্রোচ থেকে মাহাতো বাড়ির শেষ সীমানা পর্যন্ত ৮০০ মি. ও কাটকাটা ব্লকের মাথা হতে ১৩-১৪/২ পোল্ডারের শেষ সীমানা গাববুনিয়া ক্রস রাস্তা পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৬০০ মিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া এ পোল্ডারের মদিনাবাদ কাছারীবাড়ি হতে লোকা গ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত ১৫০০ মি., হায়াতখালী শান্তিময় স্কুল হতে মঠবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত ৬০০০ মি., ৪ নম্বর কয়রা হাজী রহিম শেখের বাড়ি হতে ছাদাত মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত ২০০০ মি., ৬ নম্বর কয়রা গুড়িয়াবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি হতে সুজিত মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ৩০০০ মি. মোট ১৫ হাজার ৫০০ মিটার রাস্তা সংস্কার করা হলে ১৩-১৪/২ পোল্ডারের মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে।
অপরদিকে, উক্ত উপজেলার ১৪/১ পোল্ডার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কপোতাক্ষ নদের গাববুনিয়ার ক্রস রাস্তা হতে শাকবাড়িয়া কেয়ার রাস্তা পর্যন্ত ৮০০ মি. এবং মেদের চর এলাকায় ৭০০ মি. ও চরামুখা সাত্তার মোড়লের চিংড়ি ঘেরের পার্শ্ববর্তী বাধ পর্যন্ত ৫০০ মি. সর্বমোট ২ হাজার মিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ অকেজো হওয়ায় এলাকাবাসীর রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এছাড়া উক্ত পোল্ডারের মধ্যে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধে মাটি দ্বারা অবিলম্বে সংস্কার করা খুবই জরুরি স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে চরামুখা ৩ হাজার মি., মেটেভাঙ্গায় ১ হাজার মি., ঘড়িলাল ৫০০ মি., ছোট আংটিহারা ২ হাজার মি., জোড়শিং বাজারের পার্শ্ববর্তী ১ হাজার মি., বীণাপানি ৫০০ মি., ঘোপের খাল এলাকায় ২০০ মি., গাতীরঘেরী এলাকায় ১ হাজার মি. ও হরিহরপুর ভাঙনকবলিত এলাকা নামক বেড়িবাঁধ ৩ হাজার মি. সর্বমোট ১৩ হাজার ৫০০ মিটার বেড়িবাঁধ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা খুবই আবশ্যক।
এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা গেছে, পাউবোর বেড়িবাঁধ সরকারিভাবে ৪.২৭ পয়েন্ট অর্থাৎ ১৪ ফুট উঁ”ু রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে রয়েছে ৩ পয়েন্ট অর্থাৎ মাত্র ১১ ফুট উচ্চতা। রাস্তা উঁচু করা হলে লাখ লাখ মানুষ নোনা পানির হাত থেকে রক্ষা পেত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।