পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720346989](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : খুলনার সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলায় নয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদ- দেয়া হয়। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার রায় ঘোষণা করেন। তবে এ রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খুলনার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও নিহতের পরিবার। খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদ ও বিবিসি’র খুলনা প্রতিনিধি মানিক চন্দ্র সাহাকে ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের নিকটে ছোট মির্জাপুরের প্রবেশ মুখে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
সাজাপ্রাপ্তরা হলোÑ সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম ওরফে বোমারু আকরাম, আলী আকবর ওরফে শাওন। এরা কারাগারে আছেন। সাত্তার ওরফে ডিস্কো ছাতার, বেল্লাল, মিথুন, সরোয়ার ওরফে সরো, সাফায়াত ওরফে শওকত ওরফে সাকা পলাতক। এ মামলায় দু’জনের বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত হলেন ওমর ফারুক ওরফে কচি ও হাই ইসলাম ওরফে কচি। এছাড়া বিস্ফোরক মামলায় ১০ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারির হত্যাকা-ের দু’দিন পর ১৭ জানুয়ারি মামলা করা হয়। খুলনা সদর থানার এস আই রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। একই দিন ওই থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলা দায়ের হয়। ২০০৪ সালের ২০ জুন খুলনা থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ৫ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে মিঠুন, বুলবুল ওরফে বুলু ও আকরাম ওরফে বোমারু আকরাম জামিনে রয়েছে। সুজন ওরফে নুরুজ্জামান ও মোঃ আকবর আলী বিশ্বাস কারাগারে রয়েছে। এছাড়া সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, সাকা ওরফে সাখাওয়াত, বেল্লাল, সরো ওরফে সরোয়ার ও শওকত হোসেন পলাতক রয়েছে। সর্বশেষ, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। পুলিশ দুই দফা তদন্ত শেষে (অধিকতর তদন্তসহ) ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে ১৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের সবাই চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। মামলায় মোট আসামি ছিল ১৩ জন। সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরো একজনকে অভিযুক্ত করায় মোট আসামি হয় ১৪ জন। এর মধ্যে তিনজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। তারা হলোÑ আবদুর রশিদ, আলতাফ ওরফে বিডিআর আলতাফ ও মাহফুজ ওরফে মাফিজ ওরফে নাসিম ওরফে শফিকুল ইসলাম।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহত সাংবাদিক মানিক সাহার ছোট ভাই প্রদীপ সাহা বলেন, “১২ বছর পর রায় ঘোষণা করা হলো। পরিবারের পক্ষে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আশা ছিল সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- ঘোষিত হবে। আর হত্যাকা-ের পেছনে নেপথ্যে যারা ছিল পূর্ব থেকেই চার্জশিটে আসেনি; তারা বিচারবহির্ভূত থেকে গেল।”
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন বলেন, “এ রায়ে খুলনার সাংবাদিক সমাজ হতাশ হয়েছি। আশা করেছিলামÑ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, ফাঁসি হবে।”
উল্লেখ্য, মানিক চন্দ্র সাহা খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদ ও একুশে টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরোপ্রধান ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বিবিসি বাংলা বিভাগের কন্ট্রিবিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।