পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে সোমবার উচ্চ পর্যায়ে এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রতিটি এলাকায় দিনে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেয়া হবে। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে লোডশেডিং দুই ঘণ্টা করা হতে পারে। রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ না করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। এ ঘোষণার পরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এলাকাভিত্তিক ২ ঘণ্টার থেকে ৩ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। রাজধানীতে সময় মেনে লোডশেডিং করলেও ঢাকার বাইরে যখন তখন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। কোনো কোনো এলাকায় দিনে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) গতকাল লোডশেডিং শুরু করেছে সকাল ১০টা থেকে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। সে অনুযায়ী লোডশেডিং বন্ধ হচ্ছে না। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যখন তখন দেয়া হচ্ছে এক ঘণ্টার লোডশেডিং বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। গতকাল সোমবারের ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো), ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানি (ওজোপাডিকো), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এর ওয়েবাসাইটের নির্দিষ্ট লিংককে গিয়ে এই তালিকা দেখতে পারবেন গ্রাহকরা।
নিচের লিংকে ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো নেসকো, আরইবি ও পিডিবির সোমবারের সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের এলাকাভিত্তিক তালিকা রয়েছে। রাজধানীর কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা তিন ঘণ্টা বেড়েছে, যা সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিঘ্নিত হওয়ার সরকারি অনুমান থেকে এক ঘণ্টা বেশি।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে উত্তরা, গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা, বনানী, বাড্ডা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, আগারগাঁও, মিরপুর, কাফরুল, কল্যাণপুর, খিলক্ষেত, পল্লবী, রূপনগর ও টঙ্গীতে গতকাল সোমবার তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হন গ্রাহকরা। ডেসকোর সূচি অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার দিন।
চলমান জ্বালানি সঙ্কট মোকাবিলায় ১৯ জুলাই থেকে সারা দেশে এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অধীনে শুরু হওয়া দুই ঘণ্টার বিদ্যুৎ বিঘ্নের অনুমান অনুযায়ী, ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে থাকা এলাকায় ভোক্তারা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত শনিবার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১২,৯৯১ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১১,৪৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে যার ফলে ১,৫৩৭ মেগাওয়াট ঘাটতি হয়েছে। গত শুক্রবার, বিপিডিবি তথ্য অনুযায়ী, ১২,৯৪৫ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ১২,৪২৪ মেগাওয়াট হওয়ায় উৎপাদনের ঘাটতি ছিল ৫২১ মেগাওয়াট। রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলি এলাকাভিত্তিক বিদ্যুতের রেশনিং দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ এর মধ্যে অনেক জায়গা বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে প্রচণ্ড গরমে দিনে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সার্বিক বিদ্যুতের ঘাটতি দৃশ্যত প্রায় ৩,০০০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবিলায় দেশজুড়ে ধারাবাহিকভাবে লোডশেডিং শুরু করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ক্ষেত্রে বিতরণ সংস্থাগুলো একেকটি এলাকায় সারা দিনে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করছে। রাজধানীতে সময় মেনে লোডশেডিং করলেও ঢাকার বাইরে যখন তখন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। কোনো কোনো এলাকায় দিনে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। আজ বুধবার রাজধানীর কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং থাকবে, তার সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। গতকাল সন্ধ্যায় ডিপিডিসি’র ওয়েবসাইটে এলাকাভিত্তিক সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের শিডিউলটি প্রকাশ করা হয়েছে। ডিপিডিসি রাজধানীকে ভাগ করেছে মোট ৩৬টি এলাকায়। এসব এলাকায় কোন উপকেন্দ্রের অধীন এলাকাগুলোতে কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকা দেয়া হয়েছে। এদিকে, হঠাৎ করেই লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় আপৎকালীন বিকল্প হিসেবে আইপিএস ও জেনারেটরের দিকে ঝুঁকছেন শহরের সচ্ছল মানুষদের অনেকে। কিনছেন চার্জার ফ্যান ও লাইট।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডও (ডেসকো) লোডশেডিং শুরু করে।
ডিপিডিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. কামরুল আজম ইনকিলাবকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এটা রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে অঞ্চলভেদে। প্রতিদিন এক অঞ্চলে একই সময়ে লোডশেডিং করা হবে না। তিনি বলেন, আজ যেখানে সকাল ১০টায় লোডশেডিং করা হলো, কাল হয়তো সেখানে ভিন্ন সময় হবে। এখন আপাতত এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। তবে অনেক এলাকায় ২-৪ ঘণ্টা থাকছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সমস্যা কারণে হচ্ছে। আগামী মাস থেকে কেটে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, আমাদের ধারণা, এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। এতে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনো কোনো জায়গায় দুই ঘণ্টাও লোডশেডিং হতে পারে। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং পৃথিবীর এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় কখন লোডশেডিং হবে তা এখনো জানা যায়নি।
গত রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ৪৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে লোডশেডিং অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। বিদ্যুতের উৎপাদনও বাড়ানো হবে। গতকাল রোববার বিদ্যুৎ ভবনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। বাড়লেই অক্টোবর মাস থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হবে লোডশেডিং। লোডশেডিং কমাতে এলাকাভিত্তিক কারখানা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।