পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘দেশে নারী-পুরুষের সমতা বিধান এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে সামাজিক কাঠামো ভাঙতে হবে। বদলে ফেলতে হবে বিশৃঙ্খল সমাজের চিত্র। তাহলেই অর্জিত হবে এদেশের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য।’ গতকাল শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত গাইড হাউজের অডিটোরিয়ামে ১৬তম জাতীয় রেঞ্জার পরিষদ অধিবেশন ও নির্বাচন-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘নারী যখন উপেক্ষিত হয়। এর পেছনে অনেক কারণ থাকে। আমরা যদি ধরি নারী এবং পুরুষ সবাই এই সমাজের মানুষ। বঞ্চনার জায়গাটা কি শুধু নারী-পুরুষে বিভেদ। নাকি বঞ্চনার জায়গাটা যে সমাজ আমরা সৃষ্টি করেছি সেটি। যে সমাজ আমরা তৈরি করেছি সেটির কারণে নারী বঞ্চিত। ক্ষমতাবান নারী অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাবান নারীকে বঞ্চিত করছে। এই ক্ষমতার কাঠামো ভাঙতে হবে। সেটি ভাঙতে হলে সবাই মিলে ভাঙতে হবে। আর সেটি আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আরও বলেন, ‘আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি। সেই যুদ্ধে সাহসী যোদ্ধা পুরুষ যেমন ছিল, সাহসী নারী যোদ্ধাও ছিল। আমাদের সভ্যতার বিকাশে, কৃষি উন্নয়নে, মাতৃগর্ভ ধারণ, শিশু প্রতিভা বিকাশ থেকে শুরু করে পৃথিবী সুন্দর করে গড়ে তোলার সবকিছুতে নারীর অংশগ্রহণ অর্ধেক নয়, এর বেশিই। কিন্তু তারপরেও কী নারীর বঞ্চনা দূর করা গেছে? সমাজকাঠামো বদলে দেয়া কিন্তু সহজ কাজ নয়। যদি ভাঙতে হয় তাহলে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে, অর্থনৈতিক বিভেদকে ভাঙতে হবে। বৈষম্যকে ভাঙতে হবে। সেটি করতে হলে নারীর কখনো সমঅধিকার বা কখনো বেশি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এই সমাজে যারা হিংস্র তাদেরকেও সুপথে আনার জন্য কাজ করতে হবে উল্লেখ করে ড. মশিউর রহমান বলেন, যা করার তা সম্মিলিতভাবে করতে হবে। অশুভ, অসত্য কখনো টেকে না। তাদের রুখে দেয়া সম্ভব। তোমার সত্য, সাহসী উচ্চারণ, তোমার অংশগ্রহণমূলক প্রতিটি কাজ সব অশুভকে রুখে দেবে। আমাদের সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটি করতে পারলে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি আমরা মানবিক, উদার, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারব।
অধিবেশনে বাংলাদেশ গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ডেপুটি কমিশনার প্রফেসর ড. ইয়াসমিন আহমেদ, জাতীয় ডেপুটি কমিশনার ফেরদৌস প্রমুখ। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া অধিবেশনের শুরুতেই বাংলাদেশ গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।