পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল নীতিমালায় আবারও সংশোধন আনা হয়েছে। এতে ব্যাংকারদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। নতুন নীতিমালার আলোকে পুনঃতফসিল করা কোনো ঋণ ছয় মাস অনাদায়ী থাকলে তা সরাসরি মন্দ মানে শ্রেণীকরণ করতে হবে। পুনঃতফসিল করা ঋণের সুদ আয় হিসেবে দেখানোর শর্ত কঠোর করা হয়েছে। অর্থাৎ আদায় ছাড়া পুনঃতফসিল করা ঋণের সুদ আয় খাতে নেওয়া যাবে না।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে। ঋণ খেলাপিদের ঢালাও ছাড় দেওয়া নিয়ে তখন সমালোচনা উঠে। সমালোচনা করেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও সাবেক ব্যাংকার। ওই সার্কুলারের ১৬ দিনের মাথায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, পুনঃতফসিলের পর আরোপিত সুদ প্রকৃত আদায় ছাড়া ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। মন্দ মানে শ্রেণীকৃত ঋণ তৃতীয় ও চতুর্থবার পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে প্রকৃত আদায় ছাড়া সংরক্ষিত প্রভিশন ব্যাংকের আয় খাতে নেওয়া যাবে না।
গত ১৮ জুলাইয়ের নির্দেশনায় ঋণ পুনঃতফসিলে শুধু ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ ও নির্বাহী কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়া ছিল। যেটা এতদিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এখতিয়ার ছিলো। নতুন নির্দেশনায় সেই সিদ্ধান্ত বদলে ব্যাংকারদের ক্ষমতা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তুলে দেওয়া হয়েছে ঋণ পুনঃতফসিলে গ্রহীতার আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা। এছাড়া ‘বিশেষ বিবেচনা’র পরিবর্তে ‘গ্রাহকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে শিল্প/ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলেই’ শুধু চতুর্থবার ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে, বলে নতুন সাকুর্লারে বলা হয়ে।
তবে পরিদর্শনের পর কোনো ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ পরিদর্শনের সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল সংক্রান্ত শর্ত পরিপালন যাচাই-বাছাই শেষে ঋণটিকে যেকোনো শ্রেণীমানে রাখতে পারবে।
পরিদর্শন শেষে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। পুনঃতফসিল পরে আসল ও সুদ মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সমকিস্তিতে আদায় করতে হবে। ছয়টি মাসিক বা দুটি ত্রৈমাসিক কিস্তি অনাদায়ী হলে পুনঃতফসিল করা ঋণ সরাসরি ক্ষতিজনক বা মন্দ মানে শ্রেণীকরণ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।