পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির একজন মানুষ। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের আগামীকাল (৫ আগষ্ট) ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, শহীদ শেখ কামাল দেশের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পড়াশোনা, সংগীতচর্চা, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টায় স্বাধীনতার পর শেখ কামাল বন্ধুদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ এবং আধুনিক সংগীত সংগঠন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও নাট্যাঙ্গনে শেখ কামাল ছিলেন সুপরিচিত ক্রীড়া সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির মানুষ এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি (শেখ কামাল) দেশের ক্রীড়াজগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ব্যক্তিগত প্রজ্ঞা ও নিজস্ব ক্রীড়া ভাবনায় এদেশে আধুনিক ফুটবলের পথিকৃৎ তিনি। খেলাধুলার সব শাখাতেই ছিল তাঁর মুন্সিয়ানার ছাপ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে তাঁর নির্মম হত্যাকান্ডের পর দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তৃতীয় বারের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি উদ্যাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত’।
তিনি বলেন, ক্রীড়ানুরাগী, সংস্কৃতিমনা, তারুণ্যদীপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছেন। কীর্তিমান এ তরুণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ ক্রীড়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বছর থেকে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকে ‘আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি’। তিনি বলেন, এ পুরস্কার ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরো উৎসাহিত করবে এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে চলমান অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করবে।
প্রেসিডেন্ট শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।