Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ড. কামালকে ইমাম বানিয়ে ভবিষ্যৎ ধূলিসাৎ হয়েছে

আলোচনা সভায় ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:৩০ এএম

২০১৮ সালে গণফোরামের সভাপতি প্রধান ড. কামাল হোসেনকে বিএনপির ইমাম বানিয়ে ভবিষ্যৎ ধূলিসাৎ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপির মতো একটা জনপ্রিয় দল, সেই দল থেকে গিয়ে ড. কামাল হোসেনকে আমাদের ইমাম বানিয়েছিলাম। কিন্ত নির্বাচন ঘোষণার পর তিনি বললেন নির্বাচনই করবেন না। এই যে নির্বাচন করবেন না, সেখানে এই ফ্রন্টে আমরা এত কষ্ট করে যে রূপরেখা তৈরি করেছিলাম, ওই রূপরেখা, আমাদের সব ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা সেদিন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মতো একটি দলকে এই ফ্যাসিবাদ সরকার ৫ না, ৬টা আসন দিয়ে বিদায় করে দেয়। সেজন্য বিএনপি এখন সব দলের সঙ্গে যাচাইপূর্বক কথা বলে এমন কিছু করতে চায়, যাতে বাংলাদেশের জন্য আবার সে রকম বিপর্যয় না আসে।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত ‘সরকার ইভিএম-এ নির্বাচন করতে চায় কেনো?’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মানুষ রাস্তায় নামলে সরকারের পতন হবেই হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এখন শুধু রাস্তায় মানুষের ঢল নামা বাকি। আমরা রাস্তায় সঙ্কটের সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ। সেই ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। ইয়াহিয়া খানের মতো শাসক টিকতে পারেনি। সুতরাং কারফিউ বা অন্য কোনোভাবেই ক্ষমতা রক্ষা করতে পারবেন না। রাস্তায় নামলে তদের পতন হবেই হবে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা মেগা উন্নয়নের নামে মেগা লুট করে দেশের রিজার্ভ শুন্য করেছে। তারা বিদ্যুত খাতের জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। কোনো বিদ্যুত উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে টাকা লুট করছে। তারা সবাই সরকারের ঘনিষ্ঠজন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি নাকি লোডশেডিং জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আজকে ছয় থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এখন তিনি বিএনপিকে হারিকেন দেয়ার কথা বলছে। আরে সেটা করতেও তে ৪/৫ কোটি হারিকেন কিনতে হবে সেই টাকাও তো তাদের নেই। আজকে সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে সংকট চলছে। শ্রীলংকার যে সংকট একই সংকট বাংলাদেশেও। এটা তো বেশিদিন লুকিয়ে রাখা যায় না। সময় আসছে বাংলাদেশে সেই অবস্থা দেখবেন। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিগত দুই নির্বাচন তারা ডাকাতি করেছে। সরকার এবার দিনের ভোট আগের রাতে ডাকাতি করতে পারবেনা। আর তারা তো ক্ষমতা ছাড়তে পারছেনা। কারণ তারা বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছে। তারা প্রশাসনকে গিলে ফেলেছে। এখন তারা পীড়া দিচ্ছে। লড়াই ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিশ্বের বহু দেশ ইভিএম বাদ দিয়েছে। ইভিএমের জারিজুরি চলবেনা। কিন্তু সরকার তো সে পথেই যাচ্ছে। সেজন্য লড়াইয়ে যেতে হবে। এই আন্দোলন বিএনপি ছাড়া সম্ভব না।

মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ বাহ্যিকভাবে আমেরিকা, বিশ্বব্যাংক সহ বিদেশিদের পাত্তা দিচ্ছে না। কিন্তু তলে তলে তাদের পা ধরছে। আমাদের টার্গেট অটুট রাখতে হবে যে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। তাহলে তারা ইভিএমের স্বপ্নও দেখতে পারবেনা।

সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ