পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশুগুপ্ত বলেন, আমাদের দেশে সরকার আসে সরকার যায়, কিংবা রাষ্ট্রেরও পরিবর্তন হয়। কিন্তু সংখ্যালঘুদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের যে জায়গায়ই সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হোক না কেন সেখানে আমরা একটি বিষয় লক্ষ্য করছি যে, সরকারি দলের একাংশ ওই সাম্প্রদায়িক শক্তির মেল বন্ধনে লুটেপাটে খাচ্ছে। মূলত তাদের লক্ষ্য হলো লাভবান হওয়া। তিনি বলেন, আজকে শুধু সাম্প্রদায়িক সংখ্যা নয় আজকে যে রাজনৈতিক শক্তির উপরে সংখ্যালঘুদের আশা কিংবা আস্থা সেখানে একটি অংশ সংখ্যালঘুর স্বার্থ বিরোধিতায় লিপ্ত রয়েছে।
রানা দাশগুপ্ত আরো বলেন, সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের কাছে এতটাই অবহেলিত যে, তারা মনে করে সংখ্যালঘুরা দেশে থাকলে ভোটটা আমার এবং দেশ থেকে চলে গেলে জমিটা আমার। আবার কেউ কেউ মনে করে এরা চলে গেলে দেশও বাঁচবে এবং ধর্মও বাঁচবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সাথে যে রাজনৈতিক দলগুলো জড়িত। তাদের বিচার সরকার আন্তরিকভাবে করছে না। যদি সরকার আন্তরিকভাবে করত তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। আমরা দেখেছি এক সময় সংখ্যালঘু নির্যাতন হলে কোনো মামলা নেয়া হতো না। কিন্তু এখন মামলা নেয়া হলেও যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয় তাদের কোনো বিচার হয় না। তাহলে এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি এ ঘটনাগুলোর সাথে পুলিশও জড়িত। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু আইন সম্পর্কে সরকার বিভিন্ন কথা বললেও আসলে তা বাস্তবায়ন করতে সরকার নিজেই আন্তরিক না।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশ যদি প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতো তাহলে এবং রাজনৈতিক দলগুলো যদি সুষ্ঠু রাজনীতি করত তাহলে ওই মন্ত্রীর মন্ত্রী পদে থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের কাছে রানা দাশগুপ্ত প্রশ্ন রেখে বলেন, আজকে বাংলাদেশের শিক্ষা কাঠামোতে ধর্ম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা করা হয়েছে। কিন্তু যেটি পাকিস্তান আমলেও ছিল না। তারপর স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মৌলভী রেখেছেন। কিন্তু সেখানে হিন্দু-বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টার ধর্মের জন্য আপনি কী ব্যবস্থা রেখেছেন। এছাড়াও বাস্তবতা হলো ক্লাসে যখন মুসলিম শিক্ষার্থীদের ইসলাম ধর্ম পড়ানো হয় তখন অন্য ধর্মের ছেলেরা মাঠে ঘুরে বেড়ায়। আজকে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মাদরাসা বোর্ডগুলোকে সরকার আধুনিকায়ন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের জন্য কী আছে? আছে কোনো কলেজ কিংবা স্কুল। আর যেগুলোও আছে আমি বলব সেগুলো আইওয়াশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।