Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫ মামলা তদন্তে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব চট্টগ্রাম কাস্টমসের

মিথ্যা ঘোষণায় মদ আমদানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

 মিথ্যা ঘোষণা এবং আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানিকৃত মদের পাঁচটি চালান আটক করার ঘটনায় আমদানিকারক পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব মামলা তদন্তে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত পাঁচটি মদের চালান আটকের মধ্য দিয়ে সরকারের ৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির প্রচেষ্টা ভÐুল করে দেয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
মদের চালান আটকের ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএইচকে টেক্সটাইল, হাশি টাইগার, ডন জিং ও ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে নগরীর বন্দর থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় আমদানিকারকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে। কাস্টমস অ্যাক্ট ছাড়াও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন, ফৌজদারি দÐবিধি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এসব মামলা রুজু করা হয়।
এদিকে মিথ্যা ঘোষণায় পাঁচ কন্টেইনার বিদেশি মদ আমদানির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের কাছে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিদায়ী কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল আলম গত সোমবার এনবিআর বরাবরে এ প্রস্তাবনা পেশ করেন। এতে বলা হয়, অতীতে বিভিন্ন সময়ে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক দলিলাদি জাল কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সীল, স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য চালান খালাস করার ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে।
এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে এ ধরনের জালিয়াতি বন্ধ হবে না। এ অবস্থায় আলোচিত পাঁচটি মদের চালান আমদানি ও খালাস প্রক্রিয়ায় জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা জরুরি। এজন্য এনবিআর অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাস্টমস, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দেন কাস্টম কমিশনার।
অপরদিকে এ ধরনের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানিকৃত চালানের মাধ্যমে অর্থ পাচারের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে পৃথক একটি এন্টি মানি লন্ডারিং শাখা রয়েছে। আটককৃত পাঁচটি চালানের তথ্যসহ যাবতীয় নথি মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়েরের জন্য ওই শাখায় প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন ইপিজেডের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামে আসা মিথ্যা ঘোষণায় পাঁচটি বিদেশি মদের বড় চালান আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ