পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে তাদের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এমন অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। শান্তি, স্থিতিশীল ও ন্যয়বিচারের জন্য তাদের দীর্ঘ পাঁচ দশকের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের অঙ্গিকার পুর্নব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি এবং বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত জনগণের প্রতি সমর্থনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকেই একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের ন্যায়সঙ্গত আকাক্সক্ষার প্রতি আমাদের অবিচল সমর্থন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আগ্রাসন এবং মানবতার বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের অভিজ্ঞতা থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর জঘন্য হামলার নিন্দা জানায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, সম্প্রসারণ পরিকল্পনাসহ অবৈধ বসতিগুলো এবং ‘দুই-রাষ্ট্র’ ভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করে দখলদার বাহিনীর অন্য যে কোনও কর্মকা-ের নিন্দা জানায় বাংলাদেশ।
প্রতিনিয়িত মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন বন্ধে দখলদার শক্তির ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান। কেননা, এই অন্যায়ের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণ, বিশেষত গাজার বাসিন্দারা কষ্ট পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব, রোডম্যাপ, আরব শান্তি পরিকল্পনা এবং চার- দেশীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নই দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিন সমস্যার একটি টেকসই সমাধানের জন্য প্রযোজ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।