Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা আজ

| প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আজ বুধবার, অর্থাৎ হিজরি বর্ষের সফর মাসের শেষ বুধবার, পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা। এ দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জ্বরমুক্ত হয়ে সর্বশেষ গোসল করেন। গোসল শেষে নাতীদ্বয় হযরত ইমাম হাসান (রা.), হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং মা ফাতেমা (রা.)কে ডেকে এনে তাদের সাথে সকালের নাশতা করেন। হযরত বেলাল (রা.) এবং সুফফাবাসীগণ বিদ্যুৎবেগে এ সুসংবাদ মদিনার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেন। এ সুসংবাদে সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। তারা বাঁধভাঙা স্রোতের ন্যায় দলে দলে এসে হুজুর (সা.)-কে একনজর দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। হুজুর (সা.)-এর রোগমুক্তিতে সাহাবায়ে কেরাম এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) তৎকালীন সময়ে ৫ হাজার দিরহাম গরিবদের মধ্যে বিলি করেছিলেন। হযরত ওমর (রা.) দান করেন ৭ হাজার দিরহাম। হযরত ওসমান (রা.) দান করেছিলেন ১০ হাজার দিরহাম ও হযরত আলী (রা.) দান করেছিলেন ৩ হাজার দিরহাম। ধনী ব্যবসায়ী হযরত আবদুর রহমান (রা.), ইবনে আউফ (রা.) ১০০ উট আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দেন। রাসূল (সা.)-এর সামান্য আরামবোধের কারণে সাহাবীগণ কীভাবে জান-মাল উৎসর্গ করতেন এটাই তার নমুনা। সুবহানআল্লাহ।
রাসূল (সা.)-এর রোগ মুক্তির দিবস আখেরি চাহার শোম্বার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে পারস্যসহ এশিয়ার পাক-ভারত উপমহাদেশে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এ দিনটি পালন করা হয়। যারা এ দিবস পালনকে বিদ’আত বলে অপ-প্রচার করে তারা এ ঘটনাকে মুসলমানদের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার জন্যই তা করে। সাহাবায়ে কেরামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইমানহারা হচ্ছে। অথচ পবিত্র কুরআনে পূর্ববর্তী অনেক ঘটনার বর্ণনা রয়েছে মানুষকে স্মরণ ও সতর্ক করে দেয়ার জন্য। ফেরাউনের ঘটনা, হযরত ইব্রাহীম (আ.) অগ্নিকু-ে নিক্ষেপের এবং মুক্তির ঘটনা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত বহু অতীত ঘটনারই অংশ। কুরআনের এসব অতীত ঘটনা স্মরণ করে মানুষ হেদায়েতের আলো লাভ করে। আখেরি চাহার শোম্বা’র দিনে অর্থাৎ আরবি সফর মাসের শেষ বুধবারে গোসল শেষে শোকর গোজার হিসেবে দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় শেষে রোগ থেকে মুক্তির দোয়া ও দান-খয়রাত হচ্ছে বুজুর্গানে দ্বীনের আমল। আজ আখেরি চাহার সোম্বার দিবস স্মরণে মুসলিম বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন দরবার, মাজার, খানকায় ওয়াজ-নসিহত, জিকির-আজকার, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এদিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটির দিন এবং অফিস-আদালতে ঐচ্ছিক ছুটির দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ