পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ হিজরী ১৪৪৪ সালের ২রা মুহাররাম। এই দিনে আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে, আমারা মুসলামন। আমাদের ধর্ম ইসলাম। এই পৃথিবীতে ইসলামের আগমন ঘটেছে আদি পিতা হযরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে। তারপর যুগে যুগে, কালে কালে ইসলাম ধর্মের প্রসার ও প্রচারে আত্মনিবেদিত কর্মরূপে কাজ করেছেন নবী-রাসূল ও তাদের অনুসারীগণ। তারপর সর্বশেষ নবী ও রাসূল হিসেবে আগমন করেছেন পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)। তাঁর মাধ্যমে ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করেছে এবং তিনি সর্বশেষ আসমানী গ্রন্থ আল কুরআন লাভ করেছেন।
আল কুরআনে আল ইসলাম শব্দটি ৬ বার ব্যবহৃত হয়েছে। যথাÑ (১) নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট (গ্রহণযোগ্য) ও পছন্দনীয় ধর্ম হলো ইসলাম। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৯)। (২) যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া ধর্ম তালাশ করে, তা তার দিক থেকে কখনো কবুল করা হবে না। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৮৫)। (৩) যাকে আল্লাহ পাক হেদায়েত দান করতে চান, তার বক্ষদেশকে তিনি ইসলামের জন্য সম্প্রসারিত করে দেন। (সূরা আল আনয়াম : আয়াত ১২৫)। (৪) অতঃপর আল্লাহ পাক যার বক্ষদেশকে ইসলামের জন্য সম্প্রসারিত করে দেন, সে তার প্রতিপালকের নূরের ওপর সুদৃঢ় থাকে। (সূরা আল যুমার : আয়াত ২২)। (৫) আমি তোমাদের ওপর আমার নেয়ামত পরিপূর্ণ করে দিয়েছি এবং তোমাদের ধর্ম হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করেছি। (সূরা আল মায়েদাহ : আয়াত ৩)। (৬) ঐ ব্যক্তির চেয়ে অধিক সীমলঙ্ঘনকারী কে হতে পারে, যে আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ করে, অথচ তাকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। (সূরা সফ : আয়াত ৭)।
এই আয়াতসমূহের সার নির্যাস হচ্ছে এই যে, ইসলাম গ্রহণকারী মুমিন-মুসলমানগণই সকল ধর্মের ওপর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবেন। আল কুরআনে সুস্পষ্টভাবে ঘোষিত হয়েছে : তিনিই সেই সত্তা যিনি স্বীয় রাসূলকে হেদায়াত ও সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে সকল ধর্মের ওপর তা বিজয় অর্জন করে, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। (সূরা তাওবাহ : আয়াত ৩৩)।
বস্তুত, চলমান দুনিয়ার গতি-প্রকৃতির প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকালে সহজেই অনুমান করা যায় যে, এই বিজয়ের শুভ সূচনা সূচিত হয়েছে হিজরী ১৪৪৪ সালে ১লা মুহাররাম হতেই। কেননা, ১৪৪৪ সংখ্যাটির মাঝেই এর ইঙ্গিত লুক্কায়িত আছে। ১৪৪৪ সংখ্যাটির যোগফল (১+৪+৪+৪)=১৩। এই ১৩ সংখ্যাটি নির্দেশ করছে কালেমা ত্বাইয়্যেবার দ্বিতীয় অংশ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’-এর প্রতি। আরবী ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ বাক্যের অক্ষর সংখ্যাও ১৩। আবার ১৩ সংখ্যাটির একক হচ্ছে (১+৩)=৪। অর্থাৎ আল্লাহ, আরবী আল্লাহ শব্দের ৪টি বর্ণই আছে। মোট কথা সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত স্বীয় মর্জি মোতাবেক মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে পরিপূর্ণতা প্রাপ্ত ইসলামকে সকল ধর্মের ওপর বিজয়ী করবেন।
হিজরী ১৪৪৪ সালটি এহেন বিজয় বৈজয়ন্তীর শুভ সংবাদ নিয়েই হয়তো আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। আল্লাহ পাক সর্বশক্তিমান ও সকল বিষয়ের জ্ঞানের অধিকারী। তিনি যা চান, তাই হয় এবং তিনি যা চান না, তা হয় না। আর হয় না বলেই ‘কালেমায়ে ত্বাইয়্যেবা’ ধারণকারীদের উচিত নিঃশর্তভাবে আল্লাহ পাকের সকাশে আত্মসমর্পণ করা। এটাই হচ্ছে মুক্তি, নিষ্কৃতি ও বিজয় লাভের মোক্ষম পন্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।