প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : যৌনপ্রজনন বা যৌনস্বাস্থ শিক্ষার কথা বলে যেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখানোর কথা বলা হচ্ছে, সেটা ইসলামের দৃষ্টিতে সঠিক কি-না? যদি সঠিক না হয়ে থাকে, তাহলে যুবক-যুবতিরা কিভাবে এর সঠিক শিক্ষা পাবে আর কারা শেখাবে, কিভাবে শেখাবে, কখন শেখাবে জানতে চাই?
উত্তর : মুসলমানের জন্য নিজের পাক-পবিত্রতা, অজু-গোসল এবং বৈবাহিক জীবনের জরুরী মাসআলা তাদের ফরজ ইলমের মধ্যেই পড়ে। এসব উপযুক্ত সময়ে শিক্ষকের মাধ্যমে এবং নারীরা নারী শিক্ষক বা বয়স্কা নারীদের কাছ শিখে নেবে। যুগ যুগ ধরে এভাবে চলে এসেছে, শেখানো হচ্ছেও। ইসলামী শিক্ষায় অনেক মাসআলাকে শরমের মাসআলা বলে অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে যুগে যুগে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। ইমাম ও আলেমগণ এধরণের মাসআলা ভদ্রোচিত ভাষায় মসজিদ মাদরাসায়ও দিয়ে থাকেন। মাহফিলেও এসব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এগুলোকে আলাদাভাবে যৌনশিক্ষা বলা হয় না। যদিও যৌনতার নীতিমালা সেখানে থাকে। জায়েজ নাজায়েজ বর্ণনা করা হয়ে থাকে। তাই, যৌন শিক্ষার নামে ছাত্র-ছাত্রীকে একসাথে পাঠদান, পুরুষ শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রীদের পাঠদান অথবা শিক্ষিকার দ্বারা ছাত্রদের পাঠদান সমর্থন করা যায় না। এজন্য যৌন শিক্ষার সমালোচনা অনেকেই করে থাকেন। লক্ষ্য রাখতে হবে যে, যৌন শিক্ষা শিক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে যেন যৌনতা চর্চার পর্যায়ে চলে না যায়। যেমন পশ্চিমা অনেক দেশে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখন ছাত্রাবাসে সহাবস্থান বৈধ করে দেওয়া হয়েছে। ছেলে-মেয়েরা এক বেড শেয়ার করে। তাদেরকে কৃর্তপক্ষ কনডম বা পিল সরবরাহ করে। যৌন শিক্ষার অর্থ যদি পশ্চিমাদের মতো যৌনতার অবাধ চর্চা হয়ে যায়, তাহলে এটা মুসলমানরা সমর্থন করবে না, এটাই স্বাভাবিক।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।