পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন দুই ঘনিষ্ট বন্ধু পোশাক শ্রমিক ইমন রহমান (২১) ও রাশেদুল ইসলাম রাসু (২২)। দীর্ঘদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও প্রেমের দ্বন্দ্বে ইমন ওই তরুণীকে বকা দেয়। ওই তরুণী বিচার দেয় অপর প্রেমিক রাসুর কাছে। এতে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। আর রাসুর রোষানলে জীবন দিতে হয় ইমনকে। রাসু ও তার সহযোগীরা ইমনকে ডেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তুরাগ নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার ৯ দিন পর ইমনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, গতকাল ভোররাতে টাঙ্গাইল থেকে রাশেদুল ইসলাম রাসুকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে গাজীপুর থেকে তার সহযোগী বিপুল চন্দ্র বর্মণকেও গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, ইমন, রাসু, বিপুল সবাই একই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বর্তমানে তাদের মধ্যে কেউ কেউ পোশাকশ্রমিক। কয়েক বছর ধরে এ গ্রুপটি মাদক সেবন ও কারবারিতে জড়িয়ে পড়ে।
গত ৭ জুলাই ইমনকে মোবাইলে কল করে বাসা থেকে ডেকে নেয় রাসু। তিনি ইমনের কাছে জানতে চান, কেন সে তার প্রেমিকাকে বকা দিয়েছে, ডিসটার্ব করছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রাসু ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমনকে কোপাতে শুরু করে। এসময় তার সহযোগীরাও ইমনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। ইমন নিস্তেজ হয়ে গেলে তাকে তুরাগ নদে ফেলে দেন তারা। পরে ১৬ জুলাই নৌপুলিশ ইমনের মরদেহ উদ্ধার করে।
মূলত এক তরুণীর সঙ্গে ইমন ও রাসুর প্রেম ছিল। ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছেন ইমন। গত ৭ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে গাজীপুরের গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার বাসা ২০০ টাকা নিয়ে বের হন ইমন।
রাতে আর বাসায় ফেরেননি। এরপর পাঁচদিন তার পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে ১১ জুলাই কালিয়াকৈর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।