Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ২০১৯ সালে সব বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

২০১৯ সালের সব শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নেয়ার সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। এছাড়া, পাবলিক পরীক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা এই চারটি বিষয় বাদে অন্য বিষয়গুলো ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনারও সুপারিশ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মান বাড়াতে এসবসহ মোট ১৫টি সুপারিশ করেছেন দেশের শিক্ষাবিদেরা। কয়েক দিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কক্সবাজারে এক সেমিনারে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এসব সুপারিশ করেন তারা। গতকাল (সোমবার) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে শিক্ষাবিদদের এসব সুপারিশ তুলে ধরেন। এসব সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি। এ সময় বিশিষ্ট কয়েকজন শিক্ষাবিদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক পরীক্ষার সময় এবং শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে এসএসসি পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষাকে পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত না করে এগুলোকে বিদ্যালয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল প্রশ্নের মানোন্নয়নে আইটেম ব্যাংক (নাম পরিবর্তন হতে পারে) করা। ২০১৯ সাল থেকে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার জন্য দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অন্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা। নবম ও দশম শ্রেণীর কয়েকটি বই পরিমার্জন করে আকর্ষণীয় সুখপাঠ্য করা।
সুপারিশের মধ্যে আরো রয়েছে ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ওই ফলাফলের ভিত্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে মানসম্মত করা। বাংলাদেশের পরীক্ষা পদ্ধতি বিশ্বে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য এটা করা হবে। ২০১৮ সালের জানুয়ারির আগেই এই পাঠ্যপুস্তক সম্পন্ন করা হবে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের জন্য একটি টাইমলাইন বেঁধে  দেয়া হবে, যাতে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, এখানে সাধ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটাই শেষ কথা নয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর মো: আক্তারুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, শিক্ষাসচিব মো: সোহরাব হোসাইন প্রমুখ।



 

Show all comments
  • রাব্বি ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:০৮ পিএম says : 0
    আমার মন্তব্যটি হচ্ছে এই সৃজনশীল টা উঠিয়ে দেওয়া যায় না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ