Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সংস্কার আসছে

তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগামি ২০২৫ সালের মধ্যে দুই অঙ্কের ঘরে নিতে কাজ করছে সরকার। দীর্ঘ দিন ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ঘরে আটকে ছিল। এ বছর বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এই বৃত্ত থেকে বের হতে পেরেছে বাংলাদেশ। অর্জন করেছে রেকর্ড ৭.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। এখন এই প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই অঙ্কের ঘরে (১০ এর ওপর) নিয়ে যেতে চায় সরকার।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে নিতে বেসরকারি বিনিয়োগে ব্যাপক গতি আনতে চায় সরকার। এজন্য বেসরকারি বিনিয়োগে যেসব বাধা আছে, সেসব চিহ্নিত করে বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও এফবিসিসিআইকে নিয়ে বসেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে একটি টাস্কফোর্সও। আগামি জানুয়ারির মধ্যে এই টাস্কফোর্স বিনিয়োগের বাধা চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এই প্রতিবেদনের আলোকে আগামি বছরই বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত সংস্থাগুলোতে ব্যপক সংস্কার আনা হবে। প্রয়োজনে গঠন করা হবে নতুন সংস্থাও। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিডা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণে ভালো-খারাপ বের করতে এবং সব বিনিয়োগকারীর জন্য অভিন্ন একটা পথ বের করতে হবে। এ লক্ষ্যে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বিডা কাজ করছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাকে আমরা নেতৃত্ব দিচ্ছি। সুতরাং অন্য খাতেও এই খাতের অভিজ্ঞতা কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছে বিডা। একই ধরনের অন্য সম্ভাবনাময় খাত নিয়েও গবেষণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্যবসা বিকাশ ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান করতে সম্ভাব্য সবকিছু করব। পরিকল্পনায় আমরা তিনটি বড় ক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে চাই : বিনিয়োগ সংস্থা, সেবা প্রদানকারী এবং উন্নয়নের জন্য বাস্তুসংস্থান। এসব কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগে সরাসরি অবদান রাখবে।
বিডা সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকারক ও রফতানিকারকরা যাতে এককক্ষে গিয়েই সব ঝামেলা চুকাতে পারেন, সে জন্য স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডাব্লিউ)। এর আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একীভূতভাবে আমদানি-রফতানিকারকদের সেবা দেবে এককক্ষে বসেই। এতে উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন অফিসে দৌড়-ঝাপ করতে হবে না। ইতোমধ্যেই এনএসডাব্লিউ স্থাপনে এ তিন প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন তা আছে আইন মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে ক্লিয়ারেন্স (ভেটিং) পেলে উঠবে মন্ত্রীসভার বৈঠকে। জানুয়ারি মাসেই এই সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ