পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুন্দরবনের খোকা বাবুবাহিনীর প্রধানসহ ১২ নৌদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপির নিকট আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল বরিশাল র্যাব-৮ কার্যালয়ে দেশি-বিদেশি ২২টি অস্ত্র এবং এক হাজার রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সন্দুরবনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা ওইসব সন্ত্রাসী আত্মসমর্পণ করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার অঙ্গীকার করে। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখনো যারা আত্মসমর্পণ করেনি তাদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অত্মশুদ্ধির আহ্বান জানান। অন্যথায় চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করার কথা সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকে দস্যুতা নির্মূল করা হবে। আর দস্যুতা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় বরিশালÑ১ আসনের এমপি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ উপস্থিত ছিলেন। র্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, গত ২৭ নভেম্বর সুন্দরবনের মৌখালী খাল এলাকায় অভিযানকালে কবিরুল ইসলাম ওরফে খোকা বাবুসহ দলের ১২ সদস্য হাত উঁচিয়ে আত্মসমর্পণ করে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ছয়টি একনলা বন্দুক, চারটি দোনালা বন্দুক, একটি এয়ার রাইফেল, ছয়টি শার্টারগান, দু’টি এয়ারগান, দু’টি ওয়ান শুটার গান ও একটি বিদেশি কাটা রাইফেল এবং এক হাজার তিন রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি। গতকাল সোমবার আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদের বরিশাল র্যাব-৮ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, নৌদস্যুদের যারা অস্ত্র ও অর্থ যোগান দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা বাহিনী কাজ করছে। চিহ্নিত হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। কেউ পরিত্রাণ পাবে না। এ কারণে তাদেরকে দস্যুদের সহায়তা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গতকালের ওই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এমপি তালুকদার মো: ইউনুস, এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, বরিশাল রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি মাফরু হাসান, র্যাব-৮-এর পরিচালক লে. কর্নেল ইফতেখারুল মাবুদ এবং পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। র্যাব-৮ শুরু থেকে এ পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ২৪২ জন নৌ ও বনদস্যুকে আটক করেছে। উদ্ধার করেছে ৬৮৯টি অস্ত্র, ১৯ হাজার রাউন্ড গুলি। পাশাপাশি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে দুই শতাধিক জল ও বনদস্যু।
সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে জেলে ও বনজীবীরা ছিল নৌদস্যুদের টার্গেট। তাদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় করাই ছিল জলদস্যুদের প্রধান কাজ। র্যাব-৮ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে বিভিন্ন সময়। র্যাবের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে বিভিন্ন সময় বেশকিছু নৌদস্যু হতাহত হওয়া ছাড়াও এসব অভিযানে ব্যপাক সাফল্য এসেছে। আর এসব কারণেই ক্রমেই নৌদস্যুরা আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৬০ জলদস্যু র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।