পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউনেসক্যাপ) এক ঊর্ধ্বতন নির্বাহী বলেছেন, যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া আবার অর্থনৈতিক কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে যেমনটি সে প্রাচীনকালে ছিল। খবর বিজনেস টুডে। ইউনেসক্যাপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া কার্যালয়ের পরিচালক নগেশ কুমার বলেন, এশিয়া-ইউরোপ বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভারতকে সিল্ক রুট বরাবর সংযোগ বৃদ্ধির প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি এ অঞ্চলের পূর্ণ সম্ভাবনা আবিষ্কারের জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এশীয় বাণিজ্য পথের পুনরুজ্জীবন দক্ষিণ এশিয়াকে ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার মধ্যখানে স্থাপিত করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল মোটর যান চুক্তিসহ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় চুক্তির সাথে সিল্ক রোডের পূর্ব দিক দ্রুত উন্নত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের জন্য সিল্ক রোডের পশ্চিম দিকে কাজ করার সময় এসেছে। নগেশ কুমার বলেন, আন্তর্জাতিক উত্তর দক্ষিণ পরিবহন করিডোরের (আইএনএসটিসি) পক্ষ থেকে ইরানের বন্দর আব্বাস বা চাবাহারের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়াকে সংযুক্ত করার আগ্রহব্যঞ্জক প্রস্তাব রয়েছে। সিঙ্গাপুরে ২২-২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত দায়িত্বশীল বাণিজ্য ফোরামে বক্তৃতার পর পিটিআইকে তিনি বলেন, জাতিসংঘ-এসকাপ আন্তঃএশীয় রেলপথ বরাবর বিদ্যমান কার্যকর আন্তসংযোগ ব্যবহার করে ইস্তাম্বুল-তেহরান-ইসলামাবাদ মালবাহী ট্রেন করিডোর দিল্লি-কোলকাতা-ঢাকা ও ইয়াঙ্গুন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার প্রস্তাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার সাথে পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করতে এ দু’টি করিডোরের সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে বিশেষ করে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মতো দক্ষিণ এশিয়ার স্থলবেষ্টিত দেশগুলো লাভবান হবে।
নগেশ কুমার ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভারতের সাথে ইউএন-এসক্যাপের শক্তিশালী সম্পর্ক বিরাজ করা এবং ২০১১ সাল থেকে এ গ্রুপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া (ইউনেসক্যাপ-এসএসডব্লিউএ) অফিসের আয়োজক হিসেবে ভূমিকা পালনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
ভারত ১৯৭৭ সাল থেকে ইউএন-এসক্যাপের প্রযুক্তি হস্তান্তরবিষয়ক এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কেন্দ্র (এপিসিটিটি)-এর আয়োজক হিসেবেও কাজ করছে। এ কেন্দ্র গ্রুপের সদস্যদের প্রযুক্তি হস্তান্তর ও উন্নয়ন সামর্থ্য তৈরির জন্য কাজ করে।
ইউএন-এসক্যাপ-এসএসডব্ল্উিএ সকলের অংশগ্রহণ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য এ অঞ্চলের ১০টি দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রদান করছে।
ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য মূল্যবান হতে পারে। তিনি বলেন, এ সব কার্যালয় দক্ষিণ এশিয়া ও তার বাইরে ভারত ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান শেয়ার করার সুযোগ দিতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে আমাদের ব্যাপক সহযোগিতা কর্মসূচি রয়েছে যা আরো বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।