Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের মোট জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি, নেটিজনদের সমালোচনা

রুহুল আমিন | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২২, ৬:৫৪ পিএম

বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী আছে ১২ হাজার ৬২৯ জন। নতুন জনশুমারি অনুযায়ী দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই ফলাফল জানানো হয়। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।

সিনিয়র সাংবাদিক, গবেষক ও কলাম লেখক মেহেদী হাসান পলাশ নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি। এ সংখ্যা গণনার জন্য এত কোটি টাকা খরচ করার কোনো দরকার ছিল না। আমাকে বা আমার মতো যে কোনো অজ্ঞ নাগরিককে জিজ্ঞাসা করলে সহজেই বলে দিতে পারতাম।


কাজী মুস্তাফিজ নামে একজন লিখেছেন, এবারের আদমশুমারির পুরো কাজের প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। সারাদেশে ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিত করে পুরো কাজ আবার করা উচিত। শাস্তি নিশ্চিত না হলে একই ভুল আবারও হবে।

মির্জা তরিকুল কাদের নামে একজন লিখেছেন, আমার বাসায় কেউ তো আদমশুমারির তথ্য নিতে আসেনি। আমি ও আমার পরিবার এ থেকে বাদ পরে গেলাম।

এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান নামে একজন লিখেছেন, গত এক বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ লাখ কীভাবে কমে গেলো। এতগুলো মানুষ গেলো কোথায়। এক বছরে কি করোনায় সব মারা গেলো। সুতরাং সরকার কি করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ? এর ফলে এ কাজ নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

আমিন আল রাশেদ নামে একজন লিখেছেন, জনশুমারিতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ষোলো কোটি। সবাই বলছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমিও তা-ই মনে করি। কিন্ত আমরা অবিশ্বাস্য করছি কীসের ভিত্তিতে? কোনো বিশ্বাসযোগ্য বা অথেনটিক ডাটা কি আমাদের হাতে আছে? যদি না থাকে, তাহলে শুধু পারসেপশন দিয়ে অবিশ্বাস্য করাটা কি বিজ্ঞানসম্মত?

লোপা হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, বন্ধু তালিকায় আমার মতো আর কে কে আছেন যাদের বাড়িতে কেউ জনশুমারির জন্য যায়নি, হাত তোলেন তো।

আকতার হাবিব নামে একজন লিখেছেন, অনেকে বলছে জনশুমারির জন্য তাদের বাসায় যায়নি। তাই এই প্রশ্ন উঠেছে। তবে আমার বাড়িতে যখন গণনাকারীরা গেছে, তারা এক বাসায় বসেই আশপাশের কয়েকটি পরিবারের তথ্য নিয়ে গেছে। তবে, ভুল-সঠিক কোনটা বলতে পারছি না।

আমির হামজা নামে একজন লিখেছেন, আমার বাড়িতে মা-বাবা ও বোন থাকেন আর আমি হবিগঞ্জে। বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আদমশুমারির কোনো লোক বাড়িতে গিয়েছিল কি না। তাঁরা জানিয়েছে কেউ যায়নি। আমার কাছেও কেউ আসেনি। তাহলে আমার তথ্য কোথায় থেকে নেয়া হয়েছে? সব ফাঁকিবাজকে দিয়ে আদমশুমারি করা হয়েছে।

মেহেদী হাসান রিয়াদ নামে একজন লিখেছেন, জনশুমারি ও গৃহগণনায় যাদেরেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, মাঠ পর্যায়ে তাদের অনেকেই সঠিকভাবে জরিপ করেনি। কাজের অবহেলা ছিল প্রখর। বন্যার সময় যখন আমি বাড়িতে ছিলাম তখন মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দেখেছি বাজারে বসে বসে চা-বিড়ি খেতে খেতে হিসেব শেষ করে ফেলেছে।

মাহফুজ আরেফিন নামে একজন লিখেছেন, আচ্ছা, জিডিপি যেন না কমে যায় সেজন্য ইচ্ছা করে জনসংখ্যা কমানো হয়নি তো?

বি এস ওমর ফারুক নামে একজন লিখেছেন, শেষ জামানায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা যে বেড়ে যাবে, একথা বিশ্ব নবী (সা.) সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন। দিন যত যাচ্ছে নবি (সা.) এর কথা অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হচ্ছে।

অনেকেই লিখেছেন, যাদেরকে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ফাঁকিবাজি করেছিল। তারা অনেকেরই বাড়িতে যায়নি।

আবার অনেকে লিখেছেন, এ তালিকায় প্রবাসীদের তো যোগ করা হয়নি। ফলে আদমশুমারিতে তাদের যোগ করা হলে এ তালিকা বাড়ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ