Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সুবিধা অব্যাহত রাখতে ডব্লিউটিও’র সঙ্গে আলোচনায় অঅরও সক্রিয় হতে হবে

সেমিনারে বক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২২, ৭:১৬ পিএম

স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের প্রেক্ষাপটে আসন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সুযোগ সুবিধাসমূহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাথে আলাপ আলোচনা বা নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এর সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প আয়োজিত রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে ‘ ডব্লউটিও এমসি-১২ : ইম্পলিকেশনস ফর গ্রাজুয়েটিং এলডিসি’স’’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচনাকালে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রধান প্রধান আলোচনা ও সিদ্ধান্তসমূহ এবং স্বল্পোন্নত দেশ হতে আসন্ন সময়ে বাংলাদেশের উত্তরণের প্রেক্ষাপটে উক্ত বৈঠকের তাৎপর্যসমূহ পর্যালোচনার জন্য বাণিজ্যিক সংগঠনসমূহ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয়ে সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সুবিধসমূহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠকের জন্য বাংলাদেশকে কিভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের সর্বশেষ সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণরত দেশসমূহের মসৃণ ও টেকসই উত্তরণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে মর্মে স্বীকার করা হয়েছে। এটি উত্তরণরত দেশসমূহের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। তিনি বলেন, আলোচনার পথ খোলা রয়েছে এবং উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সুবিধাসমূহ অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক পর্যায়ে আলাপ আলোচনা ও নেগোসিয়েশন চালিয়ে যেতে হবে। ইআরডি সচিব শরিফা খান তার বক্তব্যে বলেন, আগামীতে সার্বিক বৈশ্বিক পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারের প্রয়োজন হবে এবং সেই সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দক্ষতার উৎকর্ষ সাধন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারটির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের ১২ তম বৈঠকের জন্য এলডিসি গ্রুপের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবটি দেয়া হয়েছিল তা প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পরবর্তী জেনারেল কাউন্সিলের প্রথম সভায় উপস্থাপন করা হবে মর্মে জানান। তিনি উত্তরণের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে প্রয়োজনীয় গবেষণা কর্ম পরিচালনা, বাণিজ্যিক অংশীদারগণের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা এবং উত্তরণ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রস্তাবে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে সাথে রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রাক্তন সদস্য মোস্তফা আবিদ খান, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম ও এসএসজিপি প্রকল্পের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপার্ট নেছার আহমেদ। ইআরডি- এর সম্মানিত সচিব শরিফা খান বিজনেস সেশনটি সঞ্চালনা করেন।

প্যানেলিস্ট ও অংশগ্রহণকারীগণ উত্তরণ পরবর্তী সময়ের সাথে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে ট্রেড ফেসিলিটেশন সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ সহজীকরণ, এবং সক্ষমতা উন্নয়নের উপর গুরুতারোপ করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ