পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে বাংলাদেশী অধ্যুষিত চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড ইন্টারসেকশন-কে ‘লিটল বাংলাদেশ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল। এ সংক্রান্ত একটি বিল ইতিমধ্যে সিটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশীদের গর্ব, প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত সিটি কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ উত্থাপিত বিলটি (০৮৮০-২০২২) গত ১৪ জুলাই ৪৭-০ ভোটে সিটি কাউন্সিলে পাশ হয়। অর্থাৎ এখন যেকোনো সময় ওই ইন্টারসেকশনে ‘লিটল বাংলাদেশ’ সাইন লাগানো হবে।
শাহানা হানিফ নিউইয়র্ক সিটির ৩৬৯ বছরের ইতিহাসে প্রথম মুসলমান নারী এবং প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত হিসেবে গত বছরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস রচনার পর বহুজাতিক এই সমাজে আরেকটি ইতিহাসে নাম লেখালেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের জ্যামাইকার হিলসাইড অ্যাভিনিউ ও হোমলন স্ট্রিটের ইন্টারসেকশন-কে ‘লিটল বাংলাদেশ’ হিসেবে উন্মোচন করা হয়। দু’লাখের অধিক বাংলাদেশীর বসতি থাকা এই সিটিতে ‘লিটল বাংলাদেশ’ হিসেবে আরেকটি সড়কের নামকরণ করায় গত ১৬ জুলাই শনিবার ব্রুকলীনের স্থানীয় চার্চ এভিনিউতে আয়োজিত ‘ব্রুকলীন মেলা ও ঈদ আনন্দ উৎসব’ এ অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার প্রবাসী বিপুল করতালিতে শাহানা হানিফকে অভিনন্দন জানান। এসময় এই মেলা ও উৎসবের প্রধান আয়োজক কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ঘোষণা করেন যে, আগামী বছর থেকে অর্থাৎ ২০২৩ সাল থেকে আমরা ব্রুকলীনে ‘লিটল বাংলাদেশ’ নামে মেলার আয়োজন করবো। বিগত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশী আমেরিকান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি অব নিউইয়র্ক এবং ৬৬ প্রিসিনক্ট কমিউনিটি কাউন্সিল যৌথভাবে ‘ব্রুকলীন পথমেলা’র আয়োজন করে আসছিল।
উৎফুল্ল শাহানা হানিফ এ সময় বলেন, আমার জন্ম এবং বেড়ে উঠা এ এলাকাতেই। তাই এখানকার উন্নয়নে বাঙালীত্ব উদ্ভাসিত করতে দ্বিধা করবো না। তবে প্রতিটি মানুষকে ব্যালটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে। অধিকার ও মর্যাদার ক্ষেত্রে ভোটদানের হিসাবটি সামনে আসে সবসময়। শাহানা বলেন, আমি ঘটা করেই ‘লিটল বাংলাদেশ’ সাইন ঝুলাবো। সে সময় আপনাদেরকে অবশ্যই আমন্ত্রণ জানানো হবে। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে ‘লিটল বাংলাদেশ’ ঘোষণার অফিসিয়াল দিনটি সেলিব্রেট করবো।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বাংলাদেশীদের নামে বা প্রতিষ্ঠানের নামে নিউইয়র্ক সিটির রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। ব্রুকলীনের ওজনপার্কে রয়েছে ‘মিজানুর রহমান ওয়ে’। দৈনিক ইনকিলাব-এর তৎকালীন ফটো সাংবাদিক মিজানুর রহমান কতিপয় স্প্যানীশ সন্ত্রাসীর হাতে নিহত হওয়ার পর প্রবাসীদের দাবির মুখে সিটি প্রশাসন যেখানে মিজান নিহত হন সেই ‘ফরবের স্ট্রীট’-এর একাংশের নামকরণ করেন ‘মিজানুর রহমান ওয়ে’। এছাড়াও ব্রঙ্কসের স্টালিং এভিনিউর একাংশের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাংলা বাজার’। কুইন্সের জ্যামাইকার ১৬৮ স্ট্রীটের একাংশের নামকরণ করা হয়েছে ‘জেএসি ওয়ে’। এটি জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এর নামে করা হয়। পাশাপাশি দাবি উঠেছে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ ষ্ট্রীট-এর নাম ‘লিটল বাংলাদেশ’ করার। এজন্য কাজ চলছে বলে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) ইনক’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।