পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারখানার যন্ত্রাংশ এবং সুতার ঘোষণায় আনা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদের দু’টি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জালিয়াতির মাধ্যমে দুটি কনটেইনার ভর্তি চালান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছিল। এসব মদ ঢাকায় নেওয়ার পথে গতকাল শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। কাস্টমস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এ অভিযানে সহযোগিতা করেন র্যাব-১১ ও হ্ইাওয়ে পুলিশের সদস্যরা।
চালান দুুটি শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাল কাগজপত্র দেখিয়ে খালাস করা হয়। তবে কোন রকম স্ক্যানিং ছাড়াই জাল কাগজপত্র দেখিয়ে আস্ত দুটি কনটেইনার ভর্তি বিশাল এ দুটি চালান কিভাবে নিরাপদে বন্দর সংরক্ষিত এলাকা থেকে বের হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় বন্দর এবং কাস্টমসের কতিপয় কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বিদেশি মদের বোতল গণনা চলছিল বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কুমিল্লা ইপিজেডের হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড মেশিনারি এবং পাবনার ঈশ্বরদীর বিকেএইচ টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে সেলাই মেশিনের ববিন ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে চালান দু’টি আমদানি করা হয়েছিল। এসব চালান খালাসের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিংয়ের জাফর আহমদ নামে একজনের মালিকানাধীন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, রিচার্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন (এআইআর) শাখার উপ-কমিশনার সাইফুল হক জানিয়েছেন, হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেডের নামে চীন থেকে আসা ১৯ হাজার ৬৫০ কেজি ওজনের চালানটি খালাসের জন্য গত ২০ জুলাই কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছিল।
একইদিন বিএইচকে টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে চীন থেকে আসা ২০ হাজার ৭৫০ কেজি ওজনের চালানটি খালাসের জন্য বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করা হয়। চালানগুলো খালাসের সময়ই খবর আসে তাতে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনা হয়েছে। তবে অভিযান শুরুর আগেই সেগুলো বন্দর থেকে খালাস করে নেয়া হয়। চালান নিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান বন্দর থেকে বেরিয়ে যায়।
সাইফুল জানান, কী পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ আনা হয়েছে সেটা গণনা চলছে। তবে দুই চালান আটকের মধ্য দিয়ে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এক কনটেইনারে শুল্ক ফাঁকি সাড়ে ৮ কোটি টাকা: চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হয়ে যাওয়া মদের চালানের গাড়ি সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ থেকে আটকের পর একটি কনটেইনারের ইনভেন্টি সম্পন্ন হয়েছে। আরেকটি কনটেইনারের ইনভেন্টরি চলছে। কনটেইনারে বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ পাওয়া গেছে। যার পরিমাণ ১৬ হাজার ১৭৭ দশমিক ৫ লিটার। লযার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং জড়িত রাজস্ব প্রায় ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।