কেউ মুদি দোকানকার বা ব্যবসায়ী, কেউ ইলেকট্রিশিয়ান, কেউবা বাসের সুপারভাইজার। তবে এসব পেশার আড়ালে তাদের প্রত্যেকে ইয়াবাসহ নানা মাদক কারবারে জড়িত। গত দু’দিন রাজধানী ও ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে মাদক সিন্ডিকেটের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের ১১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) ডিডি মো. রাশেদুজ্জামান জানান, বিভিন্ন পেশার আড়ালে টেকনাফ থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক এনে ঢাকা ও ফতুল্লায় বিক্রি করতো ওই সিন্ডেকেটের সদস্যরা। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিন্ডিকেটটিকে নজরদারিতে আনা হয়। গত শুক্রবার ও শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরো বলেন, নয়াটোলা পাগলা মাজার এলাকা থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ রফিক উল্লাহ (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় মুদি দোকানদার। তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বেগুনবাড়ি থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ সরওয়ার কামালকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় শ্রমিক। তার বাড়িও কক্সবাজারের টেকনাফে। একই এলাকা থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ ইমরান হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। পেশায় ব্যবসায়ী ইমরানের বাড়ি বরিশালে।
মহসিন (৩২) নামক এক ব্যক্তিকে চার হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রয়ের তিন লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টি-শার্ট বিক্রির আড়ালে ইয়াবা কারবারে জড়িত নারায়ণগঞ্জের এ বাসিন্দা।
মো. মিরাজ শেখকে (৩৩) দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি অটো রিকশায় যাত্রী পরিবহনের আড়ালে ইয়াবা কারবারে জড়িত। তার বাড়ি রাজবাড়ীতে। হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে প্রান্ত ভট্টাচার্য (২৫) ও মামুনুর রশীদ মিম (২১) নামে দুজনকে এক হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রান্ত একটি পরিবহন কোম্পানির সুপারভাইজার। তার বাড়ি নাটোরে। মামুনুর রশীদের বাড়িও নাটোরে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।