পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমেরিকা রাশিয়ার ওপর ডলার আদান-প্রদানে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এতে শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক উন্নত দেশও ভুক্তভোগী।
তিনি বলেন, এই একটা সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সার কেনা, খাদ্য কেনা অথবা জ্বালানি তেল কেনা, সব ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু আমরা নই, সারা বিশ্বই একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। এটা হলো বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সবাই ভোগ করছে। এতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, ঠিক একইভাবে উন্নত দেশগুলোতে অনেক অনেক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামও।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। আমি উন্নত দেশগুলোর কথা বেশি বলব। কারণ আমরা তো অনেক দূরে রয়ে গেছি কিন্তু তাদের অবস্থাই হচ্ছে করুণ। সেখানে আমরা কোথায়। তারপরও বলব প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবাই স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করছে বলেই আমরা এখনও ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। তবুও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমাদের সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে। অহেতুক অপচয় যাতে না হয়, সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এ ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকা নানা কথা লিখবে। টকশোতে অনেক কথা বলবে। বিরোধী দলও কথা বলবে। এটা বলাই তাদের কর্তব্য। তারা বলে যাক। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে এবং দেখতেহবে আমরা সঠিক পথে আছি কি না, সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করছি কি না, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি না, দেশের সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা পাচ্ছে কি না? আমরা যদি সেভাবে চিন্তা করি, তাহলে কে কী বলছে, সেদিকে খুব বেশি নজর দিতে হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।