প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : আমি অষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। নির্দিষ্ট কিছু প্রটেনশিয়াল ডাক্তারদের কে চুক্তি ভিত্তিক আমাদের কোম্পানির নির্দিষ্ট কিছু অষুধ রোগীর প্রেসক্রিপশনে লেখে দেওয়ার জন্য মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে সম্মাননা স্বরূপ কোম্পানি আমার মাধ্যমে ব্যাংক চেক/নগদ টাকা দিয়ে থাকে। এছাড়াও সপ্তাহে ২/৩ দিন ডাক্তারের নির্দিষ্ট ভিজিটবারে কোম্পানির প্রদত্ত বিভিন্ন আকর্ষণীয় গিফট, ক্যাশ/গিফট ভাউচার, অষুধের ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ইত্যাদি দিয়ে ডাক্তারদেরকে আমার কোম্পানির মানসম্মত অষুধ রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে লেখার জন্য অনুরোধ করে থাকি। এছাড়াও অষুধের দোকান/ফার্মেসীতে আমার কোম্পানির অষুধদের অর্ডার নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বড় ফার্মেসীতে কোম্পানির নির্দিষ্ট ডিসকাউন্ট ছাড়াও অনেকটা বাধ্য হয়ে আমার নিজের থেকে চুক্তিভিত্তিক অর্ডারের পরিমাণের উপর নির্দিষ্ট শতকরা পারসেনটেন্স টাকা দিতে হয়। প্রশ্ন হলো আমার চাকুরির উপরোক্ত কার্যক্রমগুলো কি ঘুষের মধ্যে পড়ে বা ইসলামের বিধানে আমার ইনকাম হালাল উপার্জন হবে কি?
উত্তর : এসব সরাসরি ঘুষের অন্তর্ভূক্ত নয়। কারণ, কোনো চিকিৎসক এসব অষুধ লেখতে বাধ্য বা ওয়াদাবদ্ধ নন। তারা ইচ্ছা করলে এই অষুধ লেখতেও পারেন, নাও লেখতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি রোগীর হক নষ্ট না হয়, তাহলে আর্থিক লাভ, উপহার বা কমিশন নামে প্রণোদনা নিয়ে অষুধ লেখা জায়েজ। আপনি নিজেও এবং আপনার কোম্পানি নিজের খুশিমতো পন্য বিক্রির স্বার্থে মূল্যছাড় বা বৈধ সুবিধা দিতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, এসব লাভ ও আকর্ষণে রোগীর যেন অপচিকিৎসা, ঠকা কিংবা যে কোনো প্রকারের হক নষ্ট না হয়।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।