পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার গাবতলীতে ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় যুবকদের মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত দ্বন্দ্বে খুন হন মো. মামুন নামের এক যুবক। এ ঘটনায় মো. আ. মোতালেব ওরফে খোকন নামের অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, গত ১৬ জুলাই বিকেলে ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় যুব সংঘের উদ্দ্যোগে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় গ্রামের যুবকরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেয়। আসামি মো. আ. মোতালেব ওরফে খোকন ও মো. নাহিদ (নিহত মো. মামুনের মামাতো ভাই) একই দলের খেলোয়াড় ছিলেন। তাদের দল ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় খেলা শেষ হওয়ার প্রায় এক মিনিট আগে ফাউল হতে একটা পেনাল্টি শট পায়। এর আগে, স্ট্রাইকার হিসেবে দলের একমাত্র গোলটি করেন নাহিদ। তাই ফলাফলে সমতা আনার জন্য পেনাল্টি শটটিও তিনি নেবেন বলে দলের অধিনায়কসহ সবাই একমত হন। কিন্তু গ্রেফতার খোকন নিজেই পেনাল্টি শট নেবে বলে গোঁয়ার্তুমি করতে থাকে।
তিনি আরো বলেন, এরপর নাহিদ পেনাল্টি শট করার জন্য প্রস্তুতি নিলে খোকন তাকে মাঠের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মারধর করতে থাকে। তখন মো. মামুন তার মামাতো ভাইকে আঘাত করার প্রতিবাদ করেন। পরবর্তীতে সবারর প্রচেষ্টায় বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়।
মুক্তা ধর বলেন, খেলায় মামুনের সঙ্গে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে তাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করে খোকন। এরপর জনৈক পিন্টু মিয়ার দোকানে ফুটবল খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে মামুনকে ধারালো দায়ের কোপে গুরুতর জখম করে খোকন। এরপর মামুনকে রড ও জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে খোকন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা করায়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৭ জুলাই রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।