পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় যথাসময়েই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলকে ভোটে দেখতে চায় জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘যারা আসছে না তাদের আমরা বারংবার অনুরোধ করে যাব। তাদের অংশগ্রহণ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব৷ কিন্তু বাধ্য করতে পারব না। তবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে বিএনপিসহ সব দলকে প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট হওয়ার কথা।
নির্বাচন যথাসময়েই হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচন কিন্তু হেলাফেলার বিষয় না। এই নির্বাচনে মাধ্যমে শাসক দল নতুন সরকার গঠন করে। জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই সরকার গঠন করা উচিত।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করবে কমিশন। ইভিএম নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।
সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমরা কুমিল্লাতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিলাম। ভালো রেজাল্ট এসেছে। আপনারাসহ আরও অনেকে সিসি ক্যামেরার কথা বলেছে। সিসি ক্যামেরা আরও বাড়বে। আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়ানোর চেষ্টা করব।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, পেশিশক্তি এটা নিয়ে কথা বলেছে অনেকে। ভোটের সময় এটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব। পেশাশক্তি যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেজন্য আপনাদেরও সহযোগিতা লাগবে৷ নির্বাচনী আইনে আমাদের খানিকটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমরা যেন সেই আইন প্রয়োগ করতে পারি সেই দাবি আপনারা করছেন তাতে আমাদের সমর্থন থাকবে।
ভোটে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে সিইসি বলেন, অনেকেই ইভিএম নিয়ে আস্থাহীনতার কথা বলছেন। আমরা কিন্তু অন্ধভাবে ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে এর কিছু ভালো দিকও আছে। আমরা সেসব পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি।
এর আগে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাতির স্বার্থে একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্য। সেই লক্ষ্যে কমিশনের কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের মাঠে দক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলে পেশাশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।
সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমএ মুকিত নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনে সরকারকে অনুরোধ করতে ইসির প্রতি আহ্বান জানান। দলটির পক্ষ থেকে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো কোন নির্বাচন যেন আর না হয় সেজন্য ইসিকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।