পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় জনগণের ওপর নির্ভর করে। জনগণকে বিশ্বাস করুন। ফলাফল জনগণ নির্ধারণ করবে। ২০১৯ সালে নিয়মানুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, এটা সবাই মেনে নিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আর সংস্কার সংস্কার করবেন না।
গতকাল (রোববার) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক পরীক্ষা হয়েছে, সব পরীক্ষায় ফেল মেরেছে। আর কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এর আগে যারা নির্বাচন কলুষিত করেছে তারাই আবার নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের কথা বলছে। দেশে নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচনের দায়িত্ব তাদের ওপর ছেড়ে দিন।
দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নাসিম বলেন, মেডিক্যাল শিক্ষার মান নিয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মানহীন কয়েকটি কলেজের ভর্তি কার্যক্রম ১ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যদি এই সময়ের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত মানে উন্নীত হতে না পারে তাহলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। মেডিক্যাল শিক্ষা কোনো চাইনিজ রেস্টুরেন্ট না যে, সেখানে যা খুশি তাই করা যাবে। এ সময় তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন হচ্ছে। সে আইনের মাধ্যমে সবাইকে সুরক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। শিঘ্রই এই আইন পাস হবে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার ছয় হাজার ডাক্তার এবং দশ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে। এসব ডাক্তাররা তৃণমূলে থেকে মানুষের সেবা করছে। নার্সদেরও তৃণমূলে পাঠানো হবে।
শহীদ ডা. মিলন প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, মিলনের নামে একটি সড়কের নামকরণের দাবি জানিয়েছিলেন মিলনের মা। তার দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনের রাস্তাটি মিলনের নামে নামকরণ করা হবে। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যেই এটি উদ্বোধন করা হবে। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু স্মরণ সভা করে মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা যাবে না। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে হলে ভালোভাবে রোগীকে সেবা দিতে হবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
শহীদ ডাক্তার মিলনে মা সেলিনা আক্তার বলেন, মিলনের স্বপ্ন থেকে আমরা অনেক দূরে সরে এসেছি। তরুণ সমাজ এখন ধ্বংসের মুখে। দেশের নারীরা প্রতিনিয়ত হত্যা, নির্যাতন, ধর্র্ষণের শিকার হচ্ছেন। দেশের মানুষের মূল্যবোধ লোপ পেয়েছে। দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কালো টাকার মালিকরা হাসপাতাল গড়ে তুলেছে। সেখানে গরিব মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশের এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে তিনি মিলনের মতো মেধাবী তরুণদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে আহ্বান জানান।
জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, মিলনের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে পারলেই তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে। মিলনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। আমরা গণতন্ত্রের সুবিধা ভোগ করছি। তাই মিলনের আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী প্রফেসর আ ফ ম রুহুল হক, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএ মহাসচিব প্রফেসর এম ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর এম এ আজিজ, বিএমএ সাবেক মহাসচিব প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ, ডা. কাজী শহিদুল আলম, সহ-সভাপতি প্রফেসর রউফ সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর উত্তম বড়–য়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর কামরুল হাসান খান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রফেসর শফিকুল হক প্রমুখ।
ডা. মিলন দিবসে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবসে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মিলনের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু ওবায়দুল কাদের দলের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনে নেতৃত্ব দেন। দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মান্নান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমদু স্বপন, একেএম এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, শামসুন্নাহার চাঁপা, আব্দুস সাত্তার, মারুফা আক্তার পপি, আমিরুল আলম মিলন, ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।
১৯৯০ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন ডা. মিলন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একজন শিক্ষক। দিবসটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।