পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদালতের আদেশ সত্ত্বেও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার অ্যাডভোকেট মো. শাহজাদার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির আবেদন নিষ্পত্তি না করায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ আগস্ট তাদের হাজির হয়ে আদালতের আদেশ পালন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্তিসহ গেজেটে নাম প্রকাশের জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন মো. শাহজাদা।
ওই আবেদনে শাহজাদা বলেন, আমি ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আমি ১৯৭১ ইং সনে এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ছিলাম। পাক সেনাদের আমলে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আমরা চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা। অন্য ভাই ছোট থাকার কারণে যুদ্ধে অংশ নিতে পারেনি। উল্লেখ্য যে, আমার চাচাত ভাইয়ের বড় ছেলে ক্যাপ্টেন পরবর্তীতে (মেজর) মেহেদী আলী ইমাম ৯ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার। তার অধীনে আমি যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমার ১) সাব-সেক্টর কমান্ডার এর অধীনে যুদ্ধ করার মূল সনদপত্র, ২) সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী সাহেবের দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্রের মূল কপি, ৩) ন্যাশনাল মিলিশিয়া স্কিমের অধীন অস্ত্র জমা দেওয়ার মূল সনদপত্র, ৪) ন্যাশনাল মিলেশিয়া ক্যাম্প থেকে প্রাপ্ত মুভমেন্ট অর্ডারের মূল কপি ৫) পিরোজপুর সাব-ডিভিশনাল অফিস থেকে রিলিজ সার্টিফিকেটের মূল কপি, ৬) সরকার নির্ধারিত ২০০৪ সালে যাচাই বাছাইতে অংশগ্রহণ করি এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত হওয়ার ফটোকপি জমা দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সরকারি গেজেটে আমার নাম প্রকাশ হয়নি। তারপর বর্তমান সরকার আবারও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইর জন্য অনলাইনে আবেদন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করলে আমি উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র ও ডকুমেন্টসহ আবেদন করি।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল তার এ আবেদন নিষ্পত্তি না করায় গত বছরের ১৯ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন মো.শাহজাদা। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এক মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মো. শাহজাদার তালিকাভুক্তির আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও শাহজাদার আবেদন নিষ্পত্তি না করায় গত ৩০ মে জামুকার চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালত অবমাননার রুলের পরও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্তির মো. শাহজাদার আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্ট আজ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালককে তলব করলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।